বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু 唱 ፥ኔ তারিণীচরণ কালি ভড়ের কথাটা শেষ হইবামাত্ৰ উত্তেজিতকণ্ঠে চীৎকার করিয়া উঠিল, “বকসিস ! ওরা যদি কাজ হাসিল করে দিতে পারে, আমি ওদের হাজার টাকা বাকসিস দেব। যদি আমার কথায় ওদের বিশ্বাস না হয়, টাকা না হয় ওরা আগাম নিকা ।” গৌর তাহার মাথাটা নাড়িয়া এক হস্ত প্ৰমাণ জিহবাটা বাহির করিয়া ফেলিল। সে তারিণীচরণেব কথাটার মাঝখানেই কি বলিতে যাইতেছিল, সেই সময় এক অভাবনীয় কাণ্ড সংঘটিত হইল। বৈঠকখানা হইতে ভিতরে অন্তঃপুরে প্রবেশের যে দ্বারটা ছিল তাহা সহসা খুলিয়া গেল, দ্বারের সম্মুখে কমলরাণী-ত্যাহার পশ্চাতে একজন পরিচারিকা। সুস্পষ্ট তীব্ৰকণ্ঠে কমলরাণী। ডাকি ८ब्ब्, **1 ।।' অকস্মাৎ সেই মুহূৰ্ত্তে বৈঠকখানাস্থিত সমস্ত লোকের সচকিত দৃষ্টি এক হইয়া কমলরাণীর মুখের উপর গিয়া পড়িল! তারিণীচরণের সমস্ত কাজের উপরেই যে কমলরাণীর তীব্ৰ দৃষ্টি সতত সংবদ্ধ থাকিত, তাহা তারিণীচরণের ধারণা করিবারই ক্ষমতা ছিল না । আজকের কাণ্ডটারও যথাসময়ে তিনি সংবাদ পাইয়াছিলেন। তাই দুঃখে ঘূণায় একেবারে উত্তেজিত হইয়া ভ্রাতার কাণ্ড দেখিবার জন্য বৈঠকখানার কপাটের আড়ালে আসিয়া দাড়াইয়াছিলেন এবং এতক্ষণ নীরবে দাড়াইয়া ভ্রাতার সমস্ত কথাবার্তাই শুনিতেছিলেন, বোধ করি হঠাৎ ক্রোধবশেই বাহির হইয়া পড়িয়াছিলেন। তাহার মাথার উপর অঞ্চল ছিল কিন্তু মুখখানি অনাবৃত। তারিণী SNS