বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। মুখ তুলিয়া চাহিদা দেখিল দ্বাবেল সম্মুখে তাতার ভগ্নী স্বয়ং কমলরাণী। সকলের দৃষ্টি তাহার উপর পড়বামাত্ৰ কমলরাণী তৎক্ষণাৎ দ্বারের পাশ্বে সরিয়! গেলেন। দ্বারের আড়াল হইতে সুস্পষ্ট তীব্ৰকণ্ঠে বলিলেন, “দাদা, তোমার এ কি মতলব ?” মানুষ যাহ! ধারণা করে না, তাহাই যদি সম্ভব হয়, দরিদ্র ছোট আদালতের পেখাদ! দেখিতে পায়, তাহার যেমন অবস্থা হয় কমলরাণীকে সহসা একেবারে বৈঠকখানার দ্বারের সম্মুখে দেখিয়! তারিণীচরণের ঠিক সেইরূপ অবস্থা হইয়াছিল । সে কথার আর উত্তর নাই, সে কথা, সে কি উত্তাপ দিবো ? ভয়ে ঘুণায় সে একেবারে পাংশুবৰ্ণ হইয়! গিয়াছিল। তাতার মুখ হইতে উত্তর বাহির হইল না, সে মঙ্গ। অপ্রস্তুত দৃষ্টিতে গৃহের চারিপাশ্বে চাহিতে লাগিল । গৌর মণ্ডল কথা কহিল, সে দ্বারের নিকট একটু অগ্রসর হইয়া মাপাট। মাটিতে ঠেকাইয়। একটা গড় করিয়া বলিল, মা ঠাকুরুণ আমরা বড়ই বিপদে পড়েছিলুম। মামা বাবু বলছিলেন, এটা না কি আপনারই হুকুম । তা আপনার হুকুম হ’লে আমরা বাঘের মুখেও যেতে পারি। তাই এতক্ষণ কি কৰ্ব্বো কিছুই মোরা ঠিক কৰ্ত্তে পাবছিলুম না । ভগবান মুখ রেখেছেন। একটু পায়ের ধূলো দেন, আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে বাড়ী যাই।” কমলরাণী পুনরায় তীব্ৰকণ্ঠে বলিলেন, “দাদ। ! আমি যে আমার স্বামীর সমস্ত মান মৰ্যাদা বিষয় সম্পত্তির ভার তোমার ο 8 ο