বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y > 0 গ্রীক ও হিন্দু ৷ সাক্ষাৎ জ্ঞানাংশস্বরূপ: যে জীবাত্মা, জ্ঞানের নিত্যতা হেতু, তাহারও অবিনাশিত্ব কল্পনা করা যায় জ্ঞানাংশ ও শক্ত্যংশ, উভয় সম্মিলনে জীবত্ব । সেই জীব যখন স্বীয় দোষে উচ্চতর সম্বন্ধসহ বিচ্ছিন্ন হওয়াতে দুঃখভাজন হয়, তখন শান্তির আশায় মহাজ্ঞান ও মহাশক্তিকে আশ্রয়পূর্বক তাহাদিগকে বিভু ও প্রভুরূপে অনুভব ও কল্পনা না করিয়া থাকিতে পারে না । কিন্তু সে সকল কি মিথ্যা কল্পনা ? ইহা সৰ্ব্বদাই প্রত্যক্ষ জ্ঞানে অনুভূত হয় যে, দৃষ্টাদৃষ্ট তাবৎ বিষয়ে, প্রকৃতির প্রয়োজনপূর্বকতা হেতু, সফলতা । এখন সেই প্রকৃতি শূন্তদ্বেষিণী । শূন্ত শব্দের অপর আখ্যা মিথ্যা, অসৎ, বিকার বিরোধিতা, স্বভাৰান্তর, ইত্যাদি । অতএব সত্য ও সৎস্বরূপের দ্বারাই প্রকৃতির প্রয়োজন পূরণ হয় ; মিথ্যা দ্বারা হয় না। প্রত্যুত জগতে মিথ্যার সঞ্চার হইলেই, দেখা যায় যে, অবিলম্বে প্রকৃতি তাহার নিরাকরণ করিয়া থাকেন । মিথ্যা, প্রকারভেদে কখনও আগু কখনও বিলম্বে, অথবা চলিত কথায় নিত্য ও নৈমিত্তিক ভাবে, নিরাকৃত হয় ; এবং তাই কখন কখন কালব্যজিহেতু ভ্রম হয় যে, মিথ্যারও বুঝি তবে এ জগতে নিত্যস্থিতি সম্ভবপর । ফলতঃ এটা নিশ্চয় যে, কি জড় কি অজড়, কি ভৌতিক কি আত্মিক, যে কোন সংসারে, মাজি হউক কালি হউক, নিরাকৃত হইতে এ জগতে কোন মিথ্যাই বাকী থাকে না। প্রকৃতি শূন্তদ্বেষিণী –পূৰ্ব্বোক্ত কল্পনা সকল যদি মিথ্যা হইত, তাহা হইলে অবশুই একদিন না একদিন তাহারা নিরাকৃত হইয়া যাইত ; একদিন না একদিন অবশুই তাঁহাদের প্রতি প্রকৃতির যে প্রতিকুলাচরণ, তাহা আমাদের দৃষ্টিগোচরে আসিত। কিন্তু আমরা দেখিতেছি, তাহার কিছুই হয় না ; বরং প্রকৃতি সে সকল