বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X 3 গ্রীক ও হিন্দু। শুভাশুভ উৎপাদন করে, অপর পক্ষে প্রাকৃতিক নিয়মের বশবৰ্ত্তিতায় কাৰ্য্য করিয়া অদৃষ্টপ্রাপ্তবং প্রাকৃতিক শুভাশুভও ভোগ করিয়া থাকে। মানবীয় স্বেচ্ছ যে ঐশ্বরিক ইচ্ছার সম্পূর্ণ অধীন, ইহা সকলেই স্বীকার করে ও সকলেই জানে । কিন্তু সে ইচ্ছা যে প্রাক্কতিক নিয়মরূপে প্রকটত, ইহা অনেকে অনুভব করিতে না পারিয়া, মানবের একমাত্র ইহ জন্মের স্বেচ্ছাকে তাবৎ ভোগ্য শুভাশুভের কারণ বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকে । মহাশক্তিরূপ এই মহাপ্রকৃতি স্বয়ং বিষ্ণুশক্তিস্বরূপ । সুতরাং মহাশক্তির যা কিছু নিয়ম, ক্রিয়া ও কৰ্ম্মস্থত্র, সে সমস্তষ্ট জগৎকর্তা বিষ্ণুচৈতন্তে আরোপিত হইতে পারে। মহাপ্রকৃতির যে নিয়ম ও ক্রিয়া, তাহাকেই প্রাকৃতিক কৰ্ম্মস্থত্র, প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন, বা প্রাক্কতিক ক্রিয়া নামে অভিহিত করিতে পারা যায়। এই প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন ও ক্রিয়াফলেই স্বর্গে নক্ষত্রমণ্ডল, মর্ত্যে পার্থিববস্তুনিকর ; এক কথায় এই বিশ্বস্থিত পরমাণুটি পর্য্যন্ত, সমস্ত চরাচর পরিচালিত হইয়া ফিরিতেছে । উহারই বশে জড়বস্তু ফলচালিত হইয়া দুই বিভিন্ন গতি প্রাপ্ত হয় এবং অজড়বস্তু জ্ঞানময় মনুষ্যও উহার বশে নানা পথে পরিচালিত হইয়া নানা দশায় গতাগতি করিয়া থাকে। ফলতঃ আমরা যতদুর দেখিতে পাই, তাহাতে প্রাকৃতিক নির্বাচন ও ক্রিয়াফলে মনুষের পরিচালিত হওয়ার ভাগই অত্যন্ত অধিক ; স্বেচ্ছা-পরিচালিত হওয়ার ভাগ তাহার তুলনায় অতি সামান্ত । এক্ষণে উপরে যেরূপ বর্ণিত হইল, তদনুসারে বাহজগতের নিকট মানবীয় স্বেচ্ছার যে অধীনত্ব ও বিনতভাব তাহার প্রতি দৃষ্টি করিলে, প্রতীতি হইবে যে, মানবীয় কৰ্ম্মস্থত্র প্রাকৃতিক কৰ্ম্মস্থত্রের অঙ্কশয়নশায়ী ; সুতরাং প্রাকৃতিক কৰ্ম্মস্থত্রই মূল, মানবীয় কৰ্ম্মস্থত তাহার