বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\}) о গ্রীক ও হিন্দু। সেই সেই বস্তু, তথাপি, আবার জিজ্ঞাসা করি, তাহাতে কেন আকৰ্ষিত, উত্তেজিত এবং ভাবান্তরপ্রাপ্ত হইয়া থাকে ? কি কারণেই বা সেই ভাবান্তর ভাব, দৃশ্বাদৃপ্ত ভাবে আমার ভাবী কাৰ্য্যপ্রবাহের প্রস্থতি স্বরূপ হয় ? এ চৌম্বকীয় গুণ ইহাদের মধ্যে কে সংযোজিত করিয়া দিল ? বলিতে পার কি ? বল বল, বলিতে পারিলে তোমার বহু ধন্যবাদ প্রদান করিব !—বাঞ্ছারাম, গেটের সেই নিসর্গ-আত্মার বাক্য স্মরণ হয় কি ? { “Tis thus at the roaring loom of time I ply, And weave for God the Garment thou sec'st Him by. ” নিনাদ-আবৰ্ত্তময়ী কাল-তন্তুমাঝে করি নিত্য গতায়াত আমি এইরূপে, করিয়া বয়ন বিভূ-বসনবিভূতি, দেখিতেছ তাকে তুমি উপলক্ষ্যি ষাহে। ইহাও সেই নিসর্গগৃহে কালতন্তু বিসর্পিত ভূতেশের বসনাংশ বয়ন মাত্র । চুম্বকের চৌম্বকীয় গুণ যাহা হইতে, ইহাদের এই চৌম্বকীয় গুণও তথায় উৎপন্ন। র্যাহার আজ্ঞায় ফুল ফুটিতেছে, ফল পাকিতেছে, নক্ষত্রমণ্ডল ঘুরিতেছে, পরমাণু উড়িতেছে, আমরা বুঝিতে পারি বা না পারি, উহাও সেই বিশ্বকৰ্ম্মার কৌশল এবং কার্য্য। অথবা যাঙ্গরই হউক এবং আমরা তাঁহা বুঝিতে পারি বা না পারি, ইহা কিন্তু নিশ্চয় যে বাহাজগৎ ও মানবচিত্তের মধ্যে, সমধৰ্ম্মি-বস্তুসম্ভব একটা চৌম্বকীয় আকর্ষণ নিত্য অবস্থান করিতেছে ; তাহ লুকাইবার নহে, হারাইবার নহে, অথবা ধ্বংস হইবারও নহে। অনন্তরূপ একত্বময়ী মহাশক্তির উহ, অবিরল এক-এবং-সৰ্ব্ব অভ্যন্তর-পরিচালিত শিরা ধমনী আদির সঞ্চরণক্রিয়া মাত্র ! যে যে গুণ এবং পদার্থরাশির