বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রস্তাব । २६७ ধীর শাস্ত অনিলবাহী বাসন্ত প্রদোষে মেঘতমসাচ্ছন্ন নভোমণ্ডল দেখিয়া, আমার মন সহসা তমসাচ্ছন্ন হইয়া মানভাবে এরূপ অভাবনীয় চিন্তামগ্ন হইল কি জন্ত? দেহপিঞ্জরে প্রাণ যেন আকুল হইয়া উঠিতেছে, কি সকল কথা মনে হইতেছিল, হইতে হইতে নষ্টস্বপ্লবৎ আবার যেন তাহারা কে কোথায় ছুটিয়া পলাইয়া যাইতেছে। কোথায় আকাশের দূর প্রান্তে মেঘমালা ঝুলিতেছে, আর কোথায় আমি এই দুর সংসার কারে বা ভূমিকান্তরে পতিত ছি; উজ এই কি দুৰে অবস্থিত, তথাপি কেন উহা দ্বারা আমার চিত্ত আকৰ্ষিত এবং আকর্ষণ হেতু চিত্তে নানা অভাবনীয় ভাবান্তর সকল আসিয়া উপস্থিত হইল ?— ঐ মেঘের সহ আমার মনের কি সম্বন্ধ বলিতে পার যে, যাহাতে মনোমধ্যে ঐক্কপ ভাবান্তরের সম্ভব হইতে পারে? কোকিলের মধুর স্বরে শ্রবণের তৃপ্তি ; পূর্ণচন্দ্রদর্শনে চিত্তের প্রফুল্লতা ; নক্ষত্রখচিত নীল চন্দ্ৰাতপ নভ:স্থল দর্শনে মনোমধ্যে নিসর্গাতিক্রমকারী ভাবের উদয় ও ভাবসমূহের অনন্ত-প্রসারী তরঙ্গসস্কুল ঘাতু প্রতিঘাত ; দুরন্থ গীতবাদ্যধ্বনি শ্রবণে চিত্তের অস্থির-প্রসন্নত ; নির্জন বিশাল কান্তার দর্শনে দিশাহারা বিষন্নত ; নিঝরিণীপরিশোভিত গিরিগুহামধ্যস্থ কাস্তার ভাগ হইতে বহুবিধ বিহঙ্গরবমিশ্রিত প্রতিধ্বনিতে মনোমধ্যে জন্মান্তরীণ ভাবের উদয় ; এ সকল কি কারণে হইয়া থাকে উদ্ধে বিদ্যুৎ-বজ্ঞাদিযুক্ত নিবিড় ঘনঘটাচ্ছন্ন আকাশমণ্ডল, নিম্নে স্বচ্ছন্দ-অন্ধকারময়ী রজনী ; টিপ্ টপ্‌ খদ্যেতমালা জলিতেছে,বিদ্যৎবলসে অন্ধকার আরও অধিকতর অন্ধকারে পরিণত হইতেছে ; পতঙ্গের ঝির্কিরব, জলের তর তর ধ্বনি, ভেকের কলরব, বায়ুর শন শন শব্দ এবভূত সময়ে চিত্ত কেন চমকিত, সঙ্কুচিত এবং ভীত হইয়া, আত্ম-দার্টতা পরিত্যাগপূর্বক, সেই সেই ভাবে লীন হইয়া থাকে? কোথায় মানবচিত্ত, আর কোথায়