বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাব । \రిసెe যদি সহজে হয়, তবে কেন মিছামিছা উত্তরোত্তর পরিশ্রম স্বীকার করিবে ? লেখা পড়া বা গ্রন্থের স্বষ্টি, পৃথিবীতে একেবারে আদি কাল হইতে হয় নাই, আবশ্যকমত ক্রমে ক্রমে হইয়াছে। যতদিন কথায় চলিত, ততদিন সঙ্কেতলিপি ছিল না ; যতদিন সঙ্কেতলিপিতে চলিত, ততদিন লেখা পড়া ছিল না ; যতদিন লেখায় চলিত, ততদিন ছাপার বন্দোবস্ত ছিল না; আবার ছাপায় যখন না চলিবে, তখন হয়ত নূতন রকমের আর কিছু নূতন আসিয়া উপস্থিত হইবে। এ প্রকৃতির এই নিয়ম, আবশ্বকাতিরিক্তে বিষয়য়োৎপত্তি হয় না ; ইহা দেখিয়া, ইহী বুঝিয়া তুমি কেন তাহার অনুকরণ না কর বা নিজের জবাবদিহিতে প্রবুদ্ধ না হওঁ ? তুমি আবশুকাতিরিক্তে অনুষ্ঠানক্ষিপ্ত হইও না । পরস্তু যাহা কিছু তোমার করা প্রয়োজন এবং যাহা তুমি করিতে সমর্থ, আগে তাঁহা সুসম্পন্ন করিয়া তোল ; পরে যদি কাজ না থাকে ও সময় পাও, তখন তাহার অতিবুদ্ধি ও আড়ম্বরে মাতিও, কেহ তোমাকে বারণ করিবে না । এ কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রকৃত তেমন অবসর আছে কি ? সকল পদার্থই এ জগতে দ্বৈতকার্য্যের সাধক হয়,প্রথম আত্মসার্থকত সাধন, দ্বিতীয় অপরার্থে নিয়োজন । বিদ্যাও সেই দ্বিবিধ কাৰ্য্য সাধন করিয়া থাকে ৷ এক স্বসীমান্তবৰ্ত্তী উদ্দেশ্য বা কৰ্ম্মের পরিচালন, অপর অনাগত ভাবী মানবের নিকট স্বীয় এবং স্বসময়ের প্রতিকৃতি প্রকটন। বিদ্যার এই দ্বিবিধ কাৰ্য্য দুই দিকেই বিশালায়ত হওয়ায়, জাতীয় উন্নতি বা অবনতিরও উহা পরিচায়কস্বরূপ হইয়া থাকে। কাৰ্য্যকারক আরব্ধ কাৰ্য্যে হস্ত প্রদান করিলেই কাৰ্য্য হয় না ; পূৰ্ব্বে কতদূর কৃত হইয়া গিয়াছে এবং এখন যাহা করিতে হইবে, তাহার প্রকৃতি ও প্রকরণ কি, পূৰ্ব্বকৃত অংশের সহ তাহার সম্বন্ধ কতদূর