পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৯২ গ্রীক ও হিন্দু। : এবং পূৰ্ব্বকৃত অংশ কি সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে, পরিণামিত্ব কি প্রকার এবং ভবিষ্যৎ সহ সম্বন্ধে কিরূপ দাড়াইবে, এ সকল জ্ঞাত হওয়া আবগুক। এ নিমিত্ত, শিক্ষাস্থলে, পূৰ্ব্বগত ও অধুনাতন এবং ভবিষ্যদাভাস, এই সকলের উপলব্ধি ও অনুভূতির নিমিত্ত যথোপযুক্ত শিক্ষার আবশুকত হইয়া থাকে। তদৰ্থে শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন ; তবে শিক্ষায় অবশ্য বহুত্ব নূ্যনত্ব আছে বটে, কিন্ত সে কেবল শিক্ষানবিশের শক্তির পরিমাণ লইয়া । যথায় যথোপযুক্ত শিক্ষার পক্ষে কোনরূপে হানি হয়, অথচ যথায় মানবে নিহিত কাৰ্য্যশক্তি প্রয়োজনামুরূপ পূর্ণ শিক্ষাগ্রহণের পক্ষে উপযুক্ত ; তথায় কাৰ্য্যশক্তি যে সেই পরিমাণে ভ্রান্ত হইয়া থাকে, তাহা বলা বাহুল্যমাত্র। অথবা যে স্থানবিশেষে যাহাঁদের পরিচালিত হওয়া উচিত, তাহারা যদি সে স্থানে, স্বভাব ছাড়িয়া, পরিচালকের কার্য্যে প্রবৃত্ত হইতে যায়, তাহা হইলেও সুমঙ্গলের সম্ভাবনা দুরে গমন করিয়া থাকে। কালের আবর্তন সহ কাৰ্য্যও যেমন নব নব ও উত্তরোত্তর গুরুতর হইয়া আসিতেছে, শিক্ষারও নূতনত্ব ও গুরুত্ব, পক্ষে তেমনি প্রয়োজন বৃদ্ধি হইয়া উঠিতেছে। শিক্ষাই মানৰজীবনের একমাত্র পরিচালক। মানবজীবনের সার স্বরূপ ধৰ্ম্ম এবং কৰ্ম্ম, উভয়ই এই শিক্ষার উপর নির্ভর করিয়া থাকে। বিদ্যারূপিণী দেবী উমা হৈমবতীর কৃপাকটাক্ষ হেতুই মানব, ব্রাহ্মীপ্রপঞ্চস্বরূপ জীবন-প্রবাহ এবং তত্ত্বদেশু ও তাহার পরিণাম সহ পরিচয় প্রাপ্তে, মনুষ্যত্ত্ব ও কৰ্ম্ম পথে অগ্রসর হইয়া কৃতকৃতার্থতালাভে সমর্থ হইতে পারিতেছে ; নতুবা মানবরাজিও অকৃতাৰ্থ এবং পশুবৎ থাকিয়া যাইত। এক্ষণে বাঞ্ছারামী ব্যাখ্যার আলোচনা করিলেও দেখিতে পাওয়া যায় যে, বিদ্যার উদ্দেশু অর্থ উপার্জন নহে, তবে সুখ উপার্জন