বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रेष প্রস্তাব ৷ * 88จ হইল, ঐ একই কারণ হেতু Pasargada (পালগঞ্জ) নগরে অগ্নি প্রবেশ করিয়াছিল। অতএব ধৰ্ম্মভীর ভারতে, স্বদেশ পরিত্যাগ এবং মেইদেশে গমন যখন এমন দ্বাণী, তখন কিরূপেই বা নির্ণয় করিতে পারা যায় যে, ভারতীয়েরা সমুদ্রপথে পোতারোণপূর্বক অতি দুৱাদেশে গমনাগমন এবং বিদেশবানিজ্য সম্পন্ন করতেন। হিন্দু দাড়ি মাঝি লইয়া সমুদ্র বারা যেন কোনমতে সমাধা হইল; কিন্তু যে দেশের সহিত বাণিজ্য করিতে হইবে, সে দেশে সম্ভবতঃ কতকগুলি লোককে আজীবন না হউক, কিছু দিনের জন্ত ত বাস করিয়া থাকিতে হইবে ? সে সময়ে সামুদ্রিক জলপথে গতিবিধি থাকিলেই, নিঃসন্দেহ উন্নত ভাবের ছিল না, সুতরাং যাওয়া আসার সুবিধার অভাবে সে কিছুদিন বাস, নেহাত কিছুদিন নহে। আরও কথা, যদি কিছু দিনের বিদেশবাস দোষ না পড়ে, তবে কাম্বোজ প্রভৃতি প্রদেশীয় লোকের কেন স্লেচ্ছত্ব প্রাপ্ত হইল ? কিম্বা যদি বলা যায়, শূদ্রের যুদৃচ্ছ গমনে সমর্থ, সুতরাং তাহাদের দ্বারা বিদেশবাণিজ্য সমাধা হইত ; তাঁহা হইলে জিজ্ঞাস্ত, শূদ্রের সমাজ তবে এত হীন ও নির্ধন হইল কেন ? বিশেষতঃ দেখা যায়, শূদ্রের সমাজের মধ্যে সৰ্ব্বদাই সন্দেহের পাত্র ; এমন কি, মনু তাহদের সঙ্গে একাকী পথ চলাচল পৰ্য্যন্ত নিষেধ করিয়াছেন। অতএব এরূপ শূদ্রের হাতে ধনাগমের উপায়স্বরূপ বাণিজ্যভার অর্পণ করিয়া আর্য্যেরা নিশ্চিন্ত থাকিবেন, এরূপ বোধ হয় না। এই সকল কারণে আপাততঃ বোধ হইতে পারে যে, আর্যের সমুদ্রযাত্রায় যে বাণিজ্য করিতেন, তাহা কৃষ্ণসার-বিচরিত দেশমধ্যেই আবদ্ধ ছিল, অর্থাৎ ভারতেরই অধিবেশিত উপকুলভাগ এবং সন্নিকটস্থ দ্বীপপুঞ্জসহ তাহদের সামুদ্রিক বাণিজ্য সমাধা হইত।