পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব । (ఆరి কতদূর আসিয়া সংযোজিত বা তাহার উত্তেজক স্বরূপ হইয়াছিল, তাহা অনুসন্ধান করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, হিমাদ্রিবেষ্টন এবং সমুদ্রপরিখায় হিন্দুগণ, বহিঃস্থ জাতিসমূহ হইতে আত্মরক্ষণ ও আত্মগোপন করিয়া, প্রায়শঃ অসংশ্লিষ্টভাবে জীবনীতিবাহন করিয়া গিয়াছেন। কোন বহিঃস্থ জাতিই সে কালে প্রবল হয় নাই এবং হইলেও, কোন শক্ৰ সহজে সাহস পাইত না যে সেই প্রাকৃতিক দুর্গপরিখাদি ভেদ করিয়া তাহাদের শাস্তিভঙ্গ করে। অতি প্রাচীনকালে আমুরদেশের রাণী শমিরমা এবং মিসরদেশের রাজা সিসস্ত্রি কর্তৃক ভারতআক্রমণের কথা রটনা আছে বটে, কিন্তু সে সকল প্রকৃত ঘটনা কি না তাহাতে সন্দেহ। তবে বাণিজ্যস্থত্রে ভারতীয়েরা কখনও বিদেশে এবং বিদেশীয়েরা কখনও ভারতে আসিত বটে, কিন্তু সেও গণনায় এত সামান্ত যে, তদ্বারা প্রচুর বিদ্যাবুদ্ধিসম্পন্ন এত বড় একটা বৃহৎ ভারতীয় সমাজ বিশেষ উত্তেজিত হওয়ার কথা নহে। তাহার পর জাতিভেদরূপ যে মুদৃঢ় দুর্গের দ্বার ভারতীয় আচার সকল রক্ষিত হইত, তাঁহাতে বিজাতীয় কোন কিছু সহজে আসিয়া প্রবেশ করিতে পাইত না। এই সকল্প কারণে, ভারতীয় রীতি নীতি আচার ও ব্যবহার স্বজাতীয় মূল হইতে স্বতঃ উৎপন্ন হইয়া, বহুলাংশে নিষ্কলঙ্ক স্বাধীনভাবে ও স্বাবলম্বনে পরিবৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। - গ্রীকের অবস্থা অন্তরূপ। অতি দূরতম কাল হইতেই তাহদিগকে বিবিধ বিভিন্ন জাতীয় সংস্রবে আসিতে হইয়াছে। প্রাচীনকাণীয় ইও, ইউরোপ, মিডীয় প্রভৃতি গ্ৰীক কামিনীদিগের -হরণবৃত্তান্ত, ট্রয়যুদ্ধ এবং আর্গনটিক সমুদ্রযাত্রাদি সে পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। তাহার পর, গ্রীকের ঐতিহাসিক সময়ে ত