পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। هgehم হইতে উজ্জ্বখলতর, অবসর হইতে অবসন্নতর, সঞ্চিত বুদ্ধি ও সঞ্চিত, পুরুষত্বটুকুরও বিনাশে ধ্বংসতরঙ্গের লহরীলীলায় ভাসমান। অন্ত দিকে লক্ষাধিক অত্যাচারেও মাথা তুলিবে না, কিন্তু ধর্মের নামে একেবারে ক্ষিপ্ত—শুধু ক্ষিপ্ত নয়, উন্মাদক্ষিপ্ত । নীত এবং নেতা, উভয়েই মোহান্ধ হইয়া, একই তরঙ্গে নিপতিত ; ভাসিয়া চলিয়াছে। দোষ কেবল নেতার নহে ; নীতের অবস্থা-প্রলোভনেই অনুরূপ: নেতার সাধারণতঃ উৎপত্তি হইয়া থাকে। এখনই কি ক্ষান্ত হইয়াছে ? তাহা নহে। ভ্রান্ত ধৰ্ম্মপিপাসা এখন পর্য্যন্ত ভারতসন্তানের সৰ্ব্বনাশ করিয়া যাইতেছে। যতদিন যে জাতিতে সজীব ধৰ্ম্মের, অবস্থান, ততদিন সে জাতির কখনই অধঃপতন সম্ভব হইতে পারে: না। যখন দেখিবে যে জাতি অধঃপতিত, তখন নিশ্চয় জানিবে,. । প্রকৃত ধৰ্ম্ম সে জাতি হইতে অনেক দূরে পলায়িত। অধঃপতিত, মন্থয্যের আবার ধৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মচর্চা, শুনিবার কথা ও হাসিবার কথা বটে। খড়গোবরপ্রবিষ্ট মৃতব্যাঘ্রচর্থেরচিত ব্যাঘ্ৰমূৰ্ত্তি যেমন সজীৰ বাঘ, অধঃপতিত জাতির ধৰ্ম্মও তেমনি সজীব ধৰ্ম্ম ! কথাগুলি অলঙ্কার নহে, ধ্রুব সত্য বলিয়া জানিবে। * অথবা এত ধৰ্ম্মবিপ্লব যেখানে, সেখানে সত্য সত্যই কি তবে ভারতসন্তান, আর সকল জাতি ধৰ্ম্মধ্বজিতায় তোমার নিকট পরাস্ত । হইয়া থাকে ?—অন্ততঃ তোমার বিশ্বাস তাঁহাই, ধাৰ্ম্মিকতা ও নৈতিকতায় তোমার বড়ই আত্মগৌরব ! কিন্তু ধৰ্ম্মপ্রাণতার প্রধান পরিচয় কৰ্ম্ম এবং নীতি। তোমার কি তাহ আছে ? কিন্তু কই ? কৰ্ম্ম ত তোমার উদরপূরণে, কিন্তু তাই বা কোন ভালরূপে পূরণ করিতে পার ? তাহা পারিলেও ত সে স্থত্রে অনেক কাজ হইত । আর নীতি ? কি ব্যবসায় কি ব্যবহারে, এক পয়সা অন্তকে দিয়া ।