পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। leg রহিয়াছে ; এত পরিমাণে নিহিত আছে ও তাঁহা এত চিত্তাকর্ষক যে কখন কখন তুমি সেই গুলিকেই স্বখের চরম ভাবিয়া, তাহার অঙিরিক্ত উপার্জনের আশায় ধাবিত হওতঃ আত্মধ্বংসে অগ্রসর হইয়া থাক। যেমন আশু মুখ দেখিতেছ অtহার বিহার সংসারাদিতে ; এ জগতের তাবৎ কার্য্যেই কার্য্যের পরিমাণ অনুরূপ, আশু মুখ নিহিত করা রহিয়াছে । তাহাও আবার এক প্রকারের নহে, নানা প্রকারের ; তোমার মুকার্যে মুখ্যাতি, মহৎকার্য্যে মহত্ব, পরোপকারে যশ, এ সকল আবার সাক্ষাৎসম্বন্ধ আগু সুখের উপর অধিকন্তু ভোগ্য পদার্থ । ইহার পর আরও কি বলিবে, কৰ্ম্মারন্ধ বৃথা খাটুনী ? বাঞ্ছারাম, যদি মুখ ও তৃপ্তি প্রাপ্তিই উদেপ্ত হয়, তবে তাহার প্রাপ্তি কঠিন নহে, কিন্তু কঠিন মনের ধাঁধা ঘুচাইয়। তাহার উপায় স্বরূপ কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হওয়া । পুনশ্চ ইহাও বলি, সকল ধাধ :নিরসনের উপায় আবার একমাত্র কৰ্ম্মে প্রবৃত্তি। তুমি যাহাকে আয়েস আরাম বল, তাহা যথার্থ আয়েস আরাম নহে ; উহ! কোন এক বা তদধিক ভোগ্য বিপ্লয়ের অতিরেক বা বীভৎস ভাবে গমন ও তত্ত্বারা আত্মধ্বংসের পথ পরিষ্কারকরণ মাত্র । তাহার পর, এ সকল কাৰ্য্য এবং তাঁহার আশু মুখ ও আয়েস আরাম এ সকলের অতীতে, আরও কতকগুলি অতিমহৎ কৰ্ম্ম আছে, যাহার আনুষঙ্গিক অপর কোন আশু মুখ নাই ; যাহা আছে, তাহ কেবল একমাত্র চিত্তপ্রসাদ । এ কথা কেবল অতিমহৎ কৰ্ম্মসমূহের পক্ষেই খাটে ; এবং সেরূপ কৰ্ম্মের সাধক যাহারা, তাঁহার ক্ষণজন্মা । ঈশ্বর যে এ সকল কৰ্ম্মের সঙ্গে অন্ত কোন আশু মুখ নিহিত করেন নাই, তাহার কারণ বোধ হয় এই যে, তিনি জানেন যে, এ সকল মহৎ কৰ্ম্ম সম্পাদানার্থে যাহারা নিযুক্ত, তাহার তেমন স্বল্পপ্রাণ ও