পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७० গ্ৰীক ও হিন্দু। বস্তুর গুণহসারে এবং স্থলান্তরে দশকের নেত্রদোষানুসারে তিনিও তদ্বৎ গুণপ্রাপ্ত বলিয়া ভান হয় ; জীবাত্মাও অবিদ্যা প্রভাবে কামকৰ্ম্ম ও শুভাশুভ প্রভৃত্তিতে তদ্বৎ পরিচালিত ও মোহযুক্ত এরূপ পরিদৃশুমান হইয়া থাকেন। বস্তুতঃ স্বৰ্য্যকর যেমন সেই সেই গুণ হইতে নির্লিপ্ত, জীবাত্মাও তদ্রুপ মায়াজনিত মোহ এবং মুখে ও দুঃখে লিপ্ত থাকিয়াও নির্লিপ্ত হয়েন । ( ৬ ) পরমাত্মার জীবশরীরস্থ ভাবকে জীবাত্মা এবং স্বভাবস্থ ভাবকে পরমাত্মা পদে অভিহিত করা যাইবে। জীবাত্মা কৰ্ম্মাশ্রয়ী মায়াবন্ধনযুক্ত হওয়ায় যদিও গমনবিমুখ, তথাপি মন অপেক্ষা দ্রুতগামী , নৈকট্য এবং দুরত্ব র্তাহার নিকট উভয়ই সমান, তিনি অন্তর আকাশে থাকিয়াও অন্তর বাহির উভয় স্থানে বাস করেন। তিনি সৰ্ব্বব্যাপী, প্রভান্বিত, অশরীরী, শিরামস্তিষ্ক-বিহীন, নিৰ্ম্মল ও পাপরহিত। ( ৭ ) নিত্য, স্বক্ষ, অবিনাশী, কিছু হইতে উৎপন্ন নহেন, স্বয়ন্তু, হস্তাও নহেন, হন্তব্যও নহেন। বাক্য নেত্র শ্রোত্র শ্বাস প্রভূতির যিনি অতীত এবং যাহা হইতে ঐ সকল ব্যক্ত হইয়া জগৎ প্রকাশ করিতেছে, যিনি কেবল অধ্যাক্স যোগ দ্বারা প্রাপ্তব্য অথবী— “অয়মাত্মা ব্ৰহ্ম মনোময়ঃ প্রাণময়শ্চক্ষুময়ঃ শ্রোত্রময়ঃ পৃথিবীময় আপোময়ো বায়ুময় আকাশময়স্তেজোময়োহুতেজোময়ঃ কামময়োহকামময়ঃ ক্ৰোধময়োংক্ৰোধময়ে ধৰ্ম্মময়োহুধৰ্ম্মময়ঃ সৰ্ব্বময়ঃ ।” Foo F = . . . . . . . . . . . . மயகயாடி (৬) আত্মা জীবশরীরস্থ হইয়াও কিরূপ নির্লিপ্ত, তাহ সাস্থ্যের অল্প ছায়া আশ্রয় করিয়া ভগবদগীতায় ১৩২৯-৩৪ স্বনাররূপে বর্ণিত হইয়াছে । পুনশ্চ মহানির্ববাণ তন্ত্রে “অয়মাত্মা সদা মুক্তে নির্লিপ্তঃ সর্ববস্তুষু।” (৭) ভগবদগীতায় ২১৭-২• “অবিনাশি তু তদ্বিন্ধি" ইত্যাদি। আবার ১৩১৩-১৫ o “সৰ্ব্বতঃ পাণিপাদস্তুৎ সৰ্ব্বতোহক্ষিশিরোমুখং ” ইত্যাদি