নরনারায়ণ [ রমণীরত্ব উৰ্ব্বশীকে স্বজন করিয়া ত্রিদিবে প্রেরণ করেন । সমুদ্রমন্থনের পর দেবদৈত্যে যুদ্ধের সময়, নরনারায়ণ তথায় উপস্থিত ছিলেন । কথিত আছে যে ইহঁরোই দ্বাপরযুগের শেষভাগে কৃষ্ণাৰ্জুনরূপে অবতীর্ণ হন। (মহ) নরসিংহ, নরহরি, নৃসিংহ— বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার। এই অবতারে বিষ্ণু হিরণ্যকশিপুকে বিনাশ করিয়াছিলেন । ব্ৰহ্মার বরে দৈত্যরাজদেবদানবপ্রভৃতির অবধ্য হইয়া উপদ্রব আরম্ভ করে। পরে নিজ পুত্র প্রহ্লাদকে হরিভক্ত বলিয়া বিনাশের জন্য অশেষ প্রকার চেষ্টা করিয়া অকৃতকাৰ্য্য হয়। অবশেষে প্রস্থলাদের নির্দেশ অনুসারে সভাস্থ স্ফটিকস্তম্ভ হইতে বিষ্ণু অৰ্দ্ধসিংহ ও অৰ্দ্ধনরের আকৃতি ধারণ পূৰ্ব্বক বহির্গত হইয়া দৈত্যরাজকে বিনাশ করেন । (বিষ্ণু) নল—নিষধরাজ । ইনি চন্দ্রবংশীয় রাজ বীরসেনের তনয় । নল যেমন রূপবান, তেমনি গুণবান নরপতি ছিলেন। সত্যপালন ইহঁার দৃঢ়ব্ৰত ছিল। ইনি প্রজাপালন রাজার প্রধান কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য বলিয়া জ্ঞান করিতেন। পুণ্য কৰ্ম্মের জন্ত নিষধপতি এত প্রসিদ্ধ ছিলেন যে ইনি “পুণ্যশ্লোক” নামে రిy ] নল বিদিত হইয়া ধৰ্ম্মরাজ যুধিষ্ঠির এবং মানবের আদর্শ কৃষ্ণের সহিত তুলনীয় হইয়াছেন – 臣 নলোরাজ, পুণ্যশ্লোকে যুধিষ্ঠিরঃ। পুণ্যশ্লোক চ বৈদেহী, পুণ্যশ্লোকে জনাৰ্দ্দনঃ ॥ ভীমতনয়া দময়ন্তীর রূপগুণের সংবাদে নলের মন তাহার প্রতি আকৃষ্ট হয় । কথিত আছে যে, একটী কামচারী মরাল ইহঁার দূত হইয়া তাহার নিকট গমনপূৰ্ব্বক ইহঁার রূপগুণের বিষয় বিবৃত করে। ইহারা উভয়ে উভয়ের প্রতি আসক্ত হইলেন। দময়ন্তীর স্বয়ম্বর উপস্থিত হইলে, ইনি বিদর্ভে যাত্রা করেন। কথিত আছে যে, পথে ইন্দ্রাদি দিকৃপালগণের সহিত ইহঁার সাক্ষাৎ হয়। র্তাহারা ইহঁাকে কোন কাজের জন্ত অমুরোধ করিলে, ইনি তাহা করিতে প্রতিশ্রুত হইলেন । অনস্তর দময়ন্তীপ্রার্থী দেবগণ ইহঁাকে দূতরূপে র্তাহার নিকট যাইতে অনুরোধ করেন। স্বয়ং দময়ন্তীর প্রার্থী হইয়াও পূৰ্ব্বাঙ্গীকার প্রতিপালন জন্য, ইনি র্তাহাদের দূত হইয়া বিদর্ভ রাজকন্যার সকাশে গমন করিলেন। দেববরে অন্তের অদৃশ্য হইয়া ইনি দময়ন্তীর নিকট উপস্থিত হুইলেন। উভয়েই উভয়ের রূপে
