পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু তুকারাম। S8) আপন ইচ্ছামত দ্রব্য গ্ৰহণ করিতে লাগিল ; কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কোন কথাই বলিতেন না। এইরূপ করায় অল্প দিবসের মধ্যেই তঁাহার সমস্ত মূলধন নষ্ট হইয়া গেল। তুকারামের অন্তঃকরণ দয়া ও ধৰ্ম্মে পরিপূর্ণ ছিল, সুতরাং তঁহার পক্ষে ব্যবসায় করা কঠিন হইয়া উঠিল। দীনদরিদ্র ও অসাধু ক্রেতাগণ র্তাহার নিকটে আসিয়া দুঃখ জানাইলে, তিনি লাভালাভ ও আদায় অনাদায়ের বিচার না করিয়া, তখনই তাহদের প্ৰাৰ্থিত দ্রব্যসামগ্ৰী তাহাদিগকে লইয়া যাইতে বলিতেন। মহীপতিঃ। বলেন, “তুকারাম দোকানে বসিয়া অবিরত হরিনাম কীৰ্ত্তন করিতেন।” কোন ক্রেতা আসিলে, তুকারাম ভাবিতেন, যদি ইহার মূল্যের উপযুক্ত দ্রব্য দিতে কিছু কম হয়, তবে ਸ਼ਸ/ হইবে ; অতএব গ্ৰাহক যেরূপ চায়, সেইরূপই দেওয়া উচিত। জীজাবাঈ স্বামীর এইরূপ ব্যবহারে বিশেষ চিন্তিত হইলেন এবং সংসারধৰ্ম্ম প্ৰতিপালন করিয়া ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে মন দিবার উপদেশ প্ৰদান করিতে লাগিলেন। এক দিবস জীজাবাঈ স্বামীকে কাছে বসাইয়া বলিতে লাগিলেন, “স্বামিন! তুমি বিঠোবার চরণে মনঃপ্রাণ সমৰ্পণ করিয়াছ, ইহাতে বিশেষ ক্ষতি হয় নাই, কিন্তু তুমি যে ঠক্‌ ও জুয়াচোরদিগের প্রতি দয়া করিয়া গৃহে অলক্ষ্মী প্ৰবেশ করাইতেছ, ইহাতেই আমাদের সর্বনাশ হইতেছে। যাহাদিগের উপার্জনের ক্ষমতা আছে, তাহাদিগকে দয়া করিয়া কি লাভ ? তোমার নিজের এক কপৰ্দকও সংস্থান নাই। অথচ তুমি পরের দ্রব্য লইয়া অপরকে দয়া করিতেছ। আমি কাচ্ছা বাচ্ছা লইয়া অনাহারে দিনযাপন করিতেছি, ঋণের জ্বালায় লোকের নিকট মুখ

  • মহীপতি খ্ৰীষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে প্রাদুর্ভূত হইয়াছিলেন। “ভক্তDDBBSuDBBDBDBSuDuDBBBDES DBBBD DBBD DBDD DD DB DDBS উহাতে তুকারামের জীবনচরিত লিখিত আছে।