পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e জীবনী-সংগ্ৰহ দেখাইতে পারিতেছি না ; কই তুমি সে দিকে ত লক্ষ্য করিতেছ না, আমাদিগের প্রতি ত দয়া করিতেছ না ? যাহা হউক, আমি সৰ্ব্বস্বান্ত হইয়া এবং ঋণ করিয়া তোমায় অর্থের যোগাড় করিয়া দিতেছি, তুমি তাহা লইয়া পুনরায় ব্যবসায় কর, দেখিও, যেন যাহার তাহার প্রতি দয়া করিয়া অর্থ নষ্ট করিও না। আমাদের মঙ্গলের জন্যই এই সকল কথা বলিতেছি।” স্ত্রীর উপদেশবাক্য শুনিয়া এবং তঁহার প্রদত্ত অর্থ লইয়া তুকারাম গৃহ হইতে বহির্গত হইলেন। ঐ সময়ে তুকারামের গ্রামস্থ বণিকৃগণ ব্যবসায়ার্থ বালেঘাট নামক স্থানে গমন করিতেছিল। তুকারাম তাহাদিগের অনুযাত্রী হইলেন এবং ক্রয় ইক্রয় শেষ করিয়া গৃহে প্ৰত্যাগমন করিতে লাগিলেন। এইবার তুকারাম কিছু লাভ করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহা গৃহে আনিতে পারেন নাই। তিনি গৃহে প্ৰত্যাগমন সময়ে দেখিতে পাইলেন যে, একজন ব্ৰাহ্মণ ঋণজালে জড়িত হইয়া উত্তমর্শদিগের হস্তে লাঞ্ছিত ও প্রহৃত হইতেছে। তাহার কাতর ক্ৰন্দনে তুকারামের হৃদয় বিগলিত হইয়া গেল। তিনি সেই স্থানে উপস্থিত হইলে, ব্ৰাহ্মণ তঁহার নিকট আপনার দুরবস্থার বিষয় জ্ঞাপন করিলেন। তুকারাম আর স্থির থাকিতে পারিলেন না, তিনি আপনার অবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত না করিয়া ব্যবসায়-লব্ধ সমস্ত অর্থ ব্ৰাহ্মণকে দান করিলেন। ব্ৰাহ্মণ ঋণ হইতে মুক্ত হইয়া গৃহে গমন করিলেন এবং তুকারাম রিক্ত হস্তে বাটীতে আসিলেন। তুকারাম বাটীতে প্ৰবেশ করিবার পূৰ্ব্বে এই সংবাদ জীজাবাঈ এর কর্ণকুহরে। প্ৰবেশ করিয়াছিল। তিনি স্বামীকে নিঃসম্বল অবস্থায় আসিতে দেখিয়া অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হইলেন। একে দরিদ্রতার নিপীড়নে তিনি রুক্ষ্মস্বভাবা হইয়াছিলেন, তাহাতে আবার স্বামীর এরূপ ব্যবহার, সুতরাং তিনি অত্যন্ত রাগান্বিত হইয়া তাহাকে অজস্র