পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । 8s মৃতজ্ঞানে বাহিরে রাখিতে বলিয়াছিলেন, বাহিরে রাখার পর রোগী পুনজীবিত হইয়াছেন।” অনেকেই অনুমান করেন যে, গোস্বামী মহাশয়ের তনুত্যাগ হওয়ার পরীক্ষণেই বারদীর মহাপুরুষ ইহার আত্মাকে পুনরায় পূৰ্ব্বদেহে প্রবেশ করাইয়া দিয়াছেন। এই বিষয় গোসাইজীর প্ৰিয়তম শিষ্যদিগের মধ্যে অনেকেই অবগত আছেন। বারদীর মহাপুরুষের সহিত সাক্ষাৎ হইবার পর হইতেই ইহার মনের গতি অন্য পথে ধাবিত হয় । ইনি আপনার আশ্রমের বহির্বাটিতে একটা আম্রবৃক্ষের তলদেশে সাধনার জন্য আসন প্ৰস্তুত করিয়া দিবারাত্ৰ হরিনাম জপ ও হরিসঙ্কীৰ্ত্তন করিতেন। কয়েক বৎসর যাবৎ সমভাবে হরিনাম জপ ও হরিনাম সঙ্কীর্তনে কালাতিপাত করিয়া তীর্থপৰ্যটনে বহির্গত হন। হিন্দুতীর্থের অনেক স্থানেই ইনি পরিভ্রমণ করিয়াছেন। গোস্বামী প্ৰভু যখন বৃন্দাবনে ছিলেন, তখন ইহার ভাবানুরাগ দেখিয়া বৈষ্ণবগণ ইহার প্রতি অত্যন্ত আসক্ত হইয়াছিলেন । নির্জন স্থানে ঈশ্বরোপাসনা করা অতি সহজ ; তথায় চিত্তচাঞ্চল্য ঘটাইবার কেহ থাকে না, এবং দেহস্থ ষড়রিপুকেও উত্তেজিত করিতে কেহ প্ৰয়াস পায় না, সুতরাং ঈশ্বরের প্রতি মন সহজেই আকৃষ্ট হয় ; কিন্তু এই প্রলোভনময় সংসারাশ্রমের মধ্যে থাকিয়া অথচ নিলিপ্তভাবে সৰ্ব্বক্ষণ ঈশ্বর।ারাধনা করা যে কিরূপ কঠিন কাৰ্য্য, তাহা সংসারী ব্যক্তি মাত্রেই অবগত আছেন। সাধুদিগের হৃদয়ে দয়া থাকে-কিন্তু মায়া থাকে না। দয়া ও মায়া দুইটি স্বতন্ত্র বস্তু। দয়া কাহাকে বলে ? অন্তের ক্লেশ অবলোকন করিলে সেই ক্লেশ দূরীকরণের জন্য অন্তঃকরণে যে ইচ্ছা জন্মে, তাহার নাম দয়া। আর মায়া কাহাকে বলে ?-অন্যের স্নেহ, যত্ন, ভালবাসা, রূপ, গুণ প্ৰভৃতিতে মুগ্ধ হওয়ার নাম মায়া । সংসারাশ্রমের মধ্যে