পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৌনী বাবা । VOS তাকাইলে পাষাণহৃদয়ও বিগলিত হয়। হে হৃদয়-বন্ধো ! কৃপা করিয়া আশীৰ্ব্বাদ কর, যেন চিরদিন আমরা তোমার শ্ৰীপাদপদ্মে তাপিত মস্তক রাখিয়া চিরশান্তি লাভ করিতে পারি। হে পরম পিতা পরমেশ্বর । আমাদিগকে অন্ধকার হইতে জ্যোতিতে লইয়া যাও, তোমার যে অপার করুণা, তাহার দ্বারা আমাদিগকে সর্বদা রক্ষা কর । भठि:, आंठि:, । शांख्ठिः । ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰহণের পর হইতেই ইহারা হিন্দুসমাজ হইতে তাড়িত হইলেন। সঙ্গে সঙ্গে অর্থকষ্টও উপস্থিত হইল। প্যারিলাল কনিষ্ঠের পড়িবার খরচ চালাইবার জন্য নিজে অধ্যয়ন পরিত্যাগ করিয়া শিক্ষকতার কাৰ্য্য গ্ৰহণ করিলেন। তিনি প্ৰথমে জলপাইগুড়ির বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন, পরে রঙ্গপুরের অন্তৰ্গত গোপালপুর মধ্য-ইংরাজী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে নিযুক্ত হন। এই কাৰ্য্যে তিনি অনেক দিন ব্ৰতী ছিলেন। যে সময়ে তিনি শিক্ষকতার কাৰ্য্য গ্ৰহণ করেন, সেই সময়ে বিবাহ করিয়াছিলেন। গোপালপুরে থাকিবার সময়, তাহার একটা ভগিনী এবং সহধৰ্ম্মিণী তাহার নিকট বাস করিতেন। সংসার-বন্ধনে আবদ্ধ হইয়াও তিনি ধৰ্ম্মজীবন লাভ করিবার জন্য গভীর রাত্ৰিতে উঠিয়া সাধন ভজন করিতেন। পাছে অধিকক্ষণ নিদ্রাভিভূত হইয়া পড়েন, এই আশঙ্কায় তিনি একখানি বেঞ্চের উপর শয়ন করিয়া থাকিতেন। দিবারাত্রির মধ্যে ৩ ৪ ঘণ্টা মাত্র নিদ্রা তাহার পক্ষে যথেষ্ট হইত। তিনি কখনও ভাল দ্রব্য আহার করিতেন না, অতি সামান্য দ্রব্য অল্পমাত্র ভোজন করিতেন, এমন কি সময়ে সময়ে উপবাসীও থাকিতেন। প্যারীলাল সংসারের মধ্যে থাকিয়া সংসারের সকল কাজকৰ্ম্ম সারিয়া যেটুকু সময় পাইতেন, সেইটুকু সময়ে ভাবীজীবন উন্নত করিবার জন্য চেষ্টা করিতেন।