পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vy জীবনী-সংগ্ৰহ। দেখিবার জন্য ভারত সম্রাট সপ্তম এডোয়ার্ড কাণ্ডীর মন্দিরে গমন করিয়াছিলেন। অনেকে বলেন, উহা মনুষ্যের দন্ত নহে, কুম্ভীরের দন্ত । শাক্যসিংহ রাজকুলে সমভূত হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু ইনি বৃক্ষতলে জন্মগ্রহণ, বৃক্ষতলে বসিয়াই সন্ন্যাসধৰ্ম্ম অবলম্বন ও বৃক্ষতলে বসিয়াই জীবলীলা সম্বরণ করিয়াছিলেন। বাল্যকাল হইতে দেহত্যাগ পৰ্য্যন্ত ক্ৰমান্বয়ে পিতৃমাতৃভক্তি, বিভবাসত্বেও বৈরাগ্য, ঈশ্বরে প্ৰেম, নিঃস্বাৰ্থ ভাবে পরো পকার, অমানুষিক ক্ষমতা, সত্য জ্যোতিঃ, কামাদি রিপুবিসর্জন প্ৰভৃতি, সদগুণ রক্ষা করিয়া জীবের মুক্তির জন্য এক নূতন ধৰ্ম্ম প্রচার করেন। ঐ সময়ে তাহার প্রচারিত ধৰ্ম্ম, লোকের এত হৃদয়গ্ৰাহী হইয়াছিল। যে, তৎকালে অপর সকল ধৰ্ম্মই নিস্তেজ হইয়া পড়িয়াছিল। প্ৰায় ২৪৫০ বৎসর হইল, বুদ্ধদেব ইহলোক হইতে অন্তহিত হইয়াছেন, কিন্তু আজও কোটী কোটী মানব তাহার প্রচারিত নিৰ্বাণ ধৰ্ম্মের অনুসরণ করিতেছে । বৌদ্ধ ধৰ্ম্মশাস্ত্রের উৎপত্তি । বুদ্ধদেব যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন তঁহার মত সকল, তাহার শিষ্যগণের মুখে মুখে চলিয়া আসিতেছিল। তিনি পরলোক গমন করিলে, র্তাহার পাঁচ শত শিষ্য রাজগৃহে সমবেত হইয়া বৌদ্ধধৰ্ম্মশাস্ত্র সঙ্কলন করেন। তাহারা গুরুর উপদেশগুলি তিনটী প্ৰধান অংশে বিভক্ত করেন। প্ৰথম “সুত্র” অর্থাৎ বুদ্ধদেব স্বয়ং শিষ্যদিগকে যে সকল উপদেশ দিয়াছিলেন। দ্বিতীয় “নিয়ম” অর্থাৎ বৌদ্ধ সমাজের শাসন-সম্বন্ধীয় নিয়মবলী। তৃতীয় “অভিধৰ্ম্ম” বা ধৰ্ম্মনীতি অর্থাৎ দার্শনিক বিচার, মীমাংসা, মতামত প্ৰভৃতি। বৌদ্ধধৰ্ম্মশাস্ত্রের এই তিন খণ্ডের নাম ত্রিপিটক।