পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मौख् ि। বুদ্ধদেব দেহরক্ষা করিবার পর, তাহার শিষ্যগণ ত্রিপিটক প্রস্তুত করিবার জন্য একটী সভা করিয়াছিলেন। ধৰ্ম্মপ্রচারক কাশ্যপ এই সভার সভাপতিত্ব গ্ৰহণ করেন। কাশ্যপ সূত্ৰ-পিটকের, আনন্দ নিয়ম-পিটকের এবং উপালী অভিধৰ্ম্ম-পিটকের সংগ্ৰহকৰ্ত্তা। বৌদ্ধধৰ্ম্মসভার নাম “সঙ্গীতি।” প্রথম সঙ্গীতির এক শত বৎসর পরে বৈশালীতে দ্বিতীয় সঙ্গীতির অধিবেশন হয়। সাত শত বৌদ্ধ এই সঙ্গীতিতে উপস্থিত ছিলেন। এই এক শত বৎসরে বৌদ্ধদিগের মধ্যে অনেক বিশেষ মতবিরোধ জন্মে। এই বিভিন্ন মতের সামঞ্জস্য বিধান জন্যই দ্বিতীয় সঙ্গীতির অধিবেশন হইয়াছিল। কিন্তু এই উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় নাই। বৌদ্ধের দুইটী পরস্পর প্রতিদ্বন্দী সম্প্রদায়ে বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়েন। শেষে ইহাদের মধ্যে আবার আঠারটীি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল হয়। অশোকের সময়ে খ্ৰীষ্টাব্দের ২৪৩ বৎসর পূর্বে পােটলীপুত্র নগরে বৌদ্ধদিগের তৃতীয় সঙ্গীতির অধিবেশন হয়। এক হাজার বৌদ্ধপুরোহিত এই সঙ্গীতিতে উপস্থিত ছিলেন। প্ৰতারক লোকে বৌদ্ধদিগের পবিত্র হরিদ্র্যাবর্ণ পরিচ্ছদ ধারণ করিয়া আপনাদের কথা বুদ্ধের উপদেশ বলিয়া সাধারণ্যে প্রচার করিয়াছিল। এই সঙ্গীতিতে তৎসমুদয়ের সংশোধন হয়। খ্ৰীষ্ট ৪০ অব্দে কনিস্কের রাজত্বকালে বৌদ্ধদিগের শেষ অর্থাৎ চতুৰ্থ সঙ্গীতির অধিবেশন হয়। ইহাতে বৌদ্ধপুরোহিতগণ সমবেত হইয়া ধৰ্ম্মগ্রন্থের তিনখানি টীকা প্ৰত্বত कgन ।