পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাত্মিক আলস্য । vid তথাপি এ কথাও সত্য যে, প্রার্থনার একটী বিশেষ ভাব আছে, ইহার বিশেষ কিছু নিময় আছে। দায়ুদের সঙ্গীতের মধ্যে বলা হইয়াছে,-“হে প্ৰভো ! যখন আমি তোমার পথে চলিতে চেন্টা করি, তখন তুমি আমাকে তুলিয়া ধরা।” অর্থাৎ, আমি যখন নিরাশার হস্তে আত্ম-সমৰ্পণ না করিয়া যথাসাধ্য নিজ শক্তিকে প্রয়োগ করি, যখন আমি বদ্ধপরিকর হইয়া ধৰ্ম্মসংগ্রামে প্ৰবৃত্ত হই, তখন তুমি আমাকে সাহায্য কর। ইহার বিপরীত উক্তি বিষয়ে একবার চিন্তা কর । যখন আমি নিজে চেষ্টা না করি, যখন আমি যথাসাধ্য আত্মশক্তি প্ৰয়োগ না করি, তখন তুমি সাহায্য করিও না ; তখন আমার তোমার নিকটে সাহায্য চাহিবার অধিকার নাই । কেমন চমৎকার কথা ! যে সংগ্ৰাম করে, সেই সাহায্য পায়। যে ব্যক্তি উঠিতে চাহিতেছে, পাপ-পথ পরিত্যাগ করিয়া তাহার সন্নিধানে উপস্থিত হইবার জন্য ব্যাকুল হইতেছে এবং তাহার জন্য দিবানিশি চেষ্টা করিতেছে, যতবারই পতিত হইতেছে ততবারই নব প্রতিজ্ঞা-বলে দৃঢ় হইয়া উঠিবার প্রয়াস পাইতেছে, তাহারই প্রার্থনা করিবার অধিকার আছে ; তাহারই প্রার্থনা সফল হয়। ইহাই জগদীশ্বরের রাজ্যের নিয়ম। তিনি যেন মানুষকে বলিয়া থাকেন,-“তোমার যাহা করিবার”কর, আমার যাহা করিবার করিতেছি।” তিনি কৃষককে বলিতেছেন,-“তুমি ভুমি কর্ষণ কর, আমি বারি বর্ষণ করিতেছি। তুমি যদি ভূমি কর্ষণ না কর, তুমি যদি মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া শ্রম না কর, তবে LLDBDB BDDDBDD DBD K BBB DS S DB