পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N98 क्षऔदन। যথাশক্তি তুমি কাজ কর, আমার যাহা করিবার তাহা আমি করিব । সে জন্য তোমাকে ভাবিতে হইবে না ।” এই নিয়মেই তঁহার রাজ্য চলিতেছে, সর্বত্রই তাহার এই একই কথা । তাহার কাৰ্য্যের প্রণালীর বিষয়ে চিন্তা করিলে বিস্ময়সাগরে নিমগ্ন হইতে হয় ! যাহারা তর্ক করেন যে তিনি ত সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান, তবে তাহার দ্বারে প্রার্থনা করিবার প্রয়োজন কি আছে ? তাহার একবার চিন্তা করিয়া দেখুন, কি জগতের ধন ধান্য উপাৰ্জনে, কি বিদ্যালাভে, কি ধৰ্ম্মসাধনে সর্ব বিষয়েই মানবের উন্নতিকে তিনি কিরূপ শ্রমসাধ্য ও সাধনাসাপেক্ষ কয়িয়া রাখিয়াছেন। যদ্যারা আমাদের শারীরিক অভাব সকল পরিপূরিত হইতে পারে, সে সকল সামগ্ৰী এই ধরাগর্ভে বা ধরা পৃষ্ঠে বিদ্যমান ; যে জ্ঞানের দ্বারা আমাদের অজ্ঞতা নিবারিত হইতে পারে, সেই জ্ঞানের উপকরণ-সামগ্ৰী সকলও এই জগৎ গ্ৰন্থ ও মানব-প্ৰকৃতিরূপ গ্ৰন্থ, এই গ্ৰন্থদ্বয়ের মধ্যেই নিবদ্ধ রহিয়াছে; যদ্যারা আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ করা যাইতে পারে, এরূপ তত্ত্ব সকল আত্মরাজ্যেই নিহিত রহিয়াছে। অন্বেষণ করা, আবিষ্কার কর, আয়ত্ত কর, সাধনার দ্বারা নিজস্ব কর, সর্বত্রই এই নিয়ম। কুকুটী যেমন পদদ্বারা মৃত্তিক খুড়িয়া সন্তানের খাদ্য দ্রব্য নিজেই চাপা। দিয়া রাখে, অভিপ্ৰায় এই, সন্তান নিজে অন্বেষণ করিয়া তাহা আবিষ্কার করুক ও ভোগ করুক তন্দ্বারা তাহার বুদ্ধি কৌশলের বিকাশ হইবে ; সেইরূপ জগতের মাতাও যেন খনির গর্ভে মণিকে, সাগরের গর্ভে মুক্তাকে, স্বষ্টি-প্ৰপঞ্চের পশ্চাতে