পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"w_^ দ্বিতীয় অধ্যায় । 8S \സസ്\ക YASMSMSAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAeeS রাখা বিশেষ আবশ্যক যে, যেমন মানবের ভিতর মহৎই জ্ঞানের নিম্নভূমি, সাধারণ জ্ঞানভূমি ও জ্ঞানাতীত ভূমি, অর্থাৎ জ্ঞান যে তিন অবস্থায় অবস্থান করে, এই সমুদয়ভাবে প্রকাশিত হইতেছে, সেইরূপ এই বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডেও এই সৰ্ব্বব্যাপী বুদ্ধিতত্ত্ব বা মহৎ—এইরূপ সহজাত জ্ঞান, যুক্তিবিচারজনিত জ্ঞান ও বিচারাতীত জ্ঞান, এই ত্ৰিবিধ ভাবে অবস্থিত । এক্ষণে একটা সূক্ষম প্রশ্ন আসিতেছে, আর এই প্রশ্ন সৰ্ব্বদাই জিজ্ঞাসিত হইয়া থাকে। যদি পূর্ণ ঈশ্বর এই জগদ্ধাণ্ড স্বষ্টি করিয়া থাকেন, তবে এখানে অপূর্ণতা কেন ? আমরা যতটুকু দেখিতেছি, ততটুকুকেই ব্রহ্মাণ্ড বা জগৎ বলি—অস" উহা আমাদের সাধারণ জ্ঞান বা যুক্তিবিচারজনিত জ্ঞানের এই ক্ষুদ্র ভূমি ব্যতীত আর কিছুই নহে। উহার বাহিলে আমরা আর কিছুই দেখিতে পাই না। এই প্রশ্নটাই যে একটা অসম্ভব প্রশ্ন। যদি আমি একটা বৃহৎ বস্তুরাশি হইতে ক্ষুদ্র অংশবিশেষ গ্রহণ করি ও উহার দিকে দৃষ্টিপাত করি, স্বভাবতঃই উহা অসম্পূর্ণ বোধ হইবে। এই জগৎ অসম্পূর্ণ বোধ হয়, কারণ, আমরাই উহাকে অসম্পূর্ণ করিয়াছি। কিরূপে আমরা ইহা করিলাম ? প্রথমে বুঝিয়া দেখা যাক—যুক্তিবিচার কাহাকে বলে, জ্ঞান কাহাকে বলে। জ্ঞান অর্থে সদৃশ বস্তুর সহিত মিলন। আপনার রাস্তায় গিয়া একটা মানুষকে দেখিলেন, দেখিয়া জানিলেন—তিনি । মানুষ। আপনার অনেক মানুষ দেখিয়াছেন, প্রত্যেকেই আপনাদের মনে একটা সংস্কার উৎপাদন করিয়াছে। একটা