পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8文 ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । নূতন মানুষকে দেখিবামাত্র আপনারা উহাকে আপনাদের সংস্কারের ভাণ্ডারে লইয়া গিয়া দেখিলেন—তথায় মানুষের অনেক ছবি রহিয়াছে। তখন এই নূতন ছবিটা অবশিষ্টগুলির সহিত উহাদের জন্য নির্দিষ্ট খোপে রাখিলেন—তখন আপনার তৃপ্ত হইলেন। কোন নতুন সংস্কার আসিলে যদি আপনাদের মনে উহার সদৃশ সংস্কার সকল পূর্ব হইতেই বর্তমান থাকে, তবেই আপনারা তৃপ্ত হন, আর এই মিলন বা সহযোগকেই জ্ঞান বলে। অতএব জ্ঞান অর্থে পূর্ব হইতেই আমাদের যে অনুভূতি-সমষ্টি রহিয়াছে, তাহাদের সহিত আর একটী অনুভূতিকে এক খোপে পৈার। আর আপনাদের পূর্ব হইতেই একটা জ্ঞানভাণ্ডার না থাকিলে যে নূতন কোন জ্ঞানই হইতে পারে না, ইহাই তাহার অন্যতম প্রবল প্রমাণ। যদি আপনাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা কিছু নী থাকে, অথবা কতকগুলি ইউরোপীয় দার্শনিকের যেমন মত, মন যদি “অনুৎকীর্ণ ফলক’ (Tabula Rasa) স্বরূপ হয়, তবে উহার পক্ষে কোন প্রকার জ্ঞান লাভ করা অসম্ভব ; কারণ, জ্ঞান অর্থেই পূর্ব হইতে যে সংস্কারসমষ্টি অবস্থিত, তাহার সহিত তুলনা করিয়া নূতনের গ্রহণমাত্র। জ্ঞানের ভাণ্ডার পূর্ব হইতেই বর্তমান থাকা চাই, যাহার সহিত এই নূতন সংস্কারটকে মিলাইবেন । মনে করুন, একটা শিশু এই জগতে জন্মগ্রহণ করিল, যাহার এই জ্ঞানভাণ্ডার নাই ; তাহা হইলে তাহার পক্ষে কোন প্রকার জ্ঞান লাভ করা একেবারে অসম্ভব। অতএব স্বীকার করিতেই হইবে যে, ঐ শিশুর অবশ্যই