পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। Գ> تایتانیایی پایتخت تحت تعقیب بنی* سے۔ ”سیم -ایسیت" بتایا.۔ گه په مستعبديجيتي অনন্ত ব্ৰহ্মস্বরূপ। তবে এত আত্মা কিরূপে আসিল ? লক্ষ লক্ষ জলকণার উপর সূর্য্যের প্রতিবিম্ব পড়িয়া লক্ষ লক্ষ সূৰ্য্য দেখাইতেছে আর প্রত্যেক জলকণাতেই ক্ষুদ্রাকারে সূর্য্যের মূৰ্ত্তি রহিয়াছে। এইরূপ এই সকল আত্ম প্রতিবিম্বস্বরূপ, সত্য নহে। তাহারা প্রকৃত পক্ষে সেই আমি নহে, যিনি এই জগতের ঈশ্বর, ব্রহ্মাণ্ডের এক অবিভক্ত সত্ত্বাস্বরূপ। অতএব এই সকল বিভিন্ন প্রাণী, মানুষ, পশু ইত্যাদি এগুলি প্রতিবিম্বস্বরূপ, সত্য নহে। উহার প্রকৃতির উপর পতিত মায়াময় প্রতিবিম্বমাত্র । জগতে একমাত্র অনন্ত পুরুষ আছেন আর সেই পুরুষ, আপনি’, ‘আমি ইত্যাদি রূপে প্রতীয়মান হইতেছেন, কিন্তু এই ভেদ-প্রতীতি মিথ্যা বই আর কিছুই নহে। তিনি বিভক্ত হন নাই, বিভক্ত হইয়াছেন বলিয়া বোধ হইতেছে মাত্র। আর তাহকে দেশকালনিমিত্তের জালের মধ্য দিয়া দেখাতেই এই আপাতপ্রতীয়মান বিভাগ বা ভেদ হইয়াছে। আমি যখন ঈশ্বরকে দেশকালনিমিত্তের জালের মধ্য দিয়া দেখি, তখন আমি তাহাকে জড় জগৎ বলিয়া দেখি-যখন আর একটু উচ্চতর ভূমি হইতে অথচ সেই জালের মধ্য দিয়াই তাহাকে দেখি, তখন তাহকে পশু বলিয়া—আর একটু উচ্চতর ভূমি হইতে মানবরূপে—আরো উচ্চে যাইলে দেবরূপে দেখিয়া থাকি । কিন্তু তথাপি তিনি জগদ্ধ,হ্মাণ্ডের মধ্যে এক অনন্ত সত্তা এবং আমরাই সেই সত্তাস্বরূপ। আমিও তাহ, আপনিও তাহ-উহার অংশ নহে, সমগ্রটাই। “তিৰি’ অনন্ত জ্ঞতারূপে সমুদয় প্রপঞ্চের পশ্চাতে দণ্ডায়মান আছেন, আবার তিনি স্বয়ং সমুদয় প্রপঞ্চ