পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( & ) আপন ইচ্ছানুসারে ইন্দ্রিয়দিগকে নিযুক্ত ও বিযুক্ত করি বার শক্তি লাভ করাই প্রকৃত ইন্দ্রিয়সংযম । যদি পূৰ্ব্বতন ঋষিগণের কথা দ্বারা ইন্ত্রিয়ের নিস্কিয়ত ইন্দ্রিয়সংযম না হয়, তবে লোক সমাজে এই ভ্রাত্তি প্রবেশ করিল কিরূপে ? ভ্রাত্তি কখনও আপলা আপনি সমাজে বদ্ধমূল হইতে পারে না এ কথা সত্য ; কিন্তু লোক যখন ভ্রান্ত হয়, তখন অতি গুরুস্তর বিষয়সকল অতিক্রম করিয়া সামান্য বিষয়েও ভ্রান্ত হয়। পূৰ্ব্ব কালের শ্ৰুতি,—খষিগণ অরণ্যে বাস করিতেন, অনাহারে যাট হাজার বৎসর তপস্যা করিতেন, র্তাহাদিগের শরীরে বলীক নিৰ্ম্মিত হইলেও টের পাইতেন না এবং বৃক্ষ লতাদি সেই বল্মীকে বদ্ধমূল হইয়া গেলেও তাম্বারা উঠিতেন না। এই প্রবাদ বা শ্রীতি সত্য কি মিথ্যা, তাহা লইয়। আমি কিছু বলিতে চাহি না । কেন না তাদৃশ কথাতে পূৰ্ব্বতন গ্রন্থকৰ্ত্তাদিগের প্রতি অশ্রদ্ধার ভাব উপস্থিত করিতে পারে এবং সেই কুারণে অধুনাতন সমাজ আমার প্রতি ত্যকৃতজ্ঞতার দোষারোপ করিতে পারেন । কিন্তু আমি ইহা উবশ্যই বলিব যে ঋষিগণ

  • "যুক্তাহারবিহারস্য যুক্তচেষ্টস্য কৰ্ম্মস্থ। যুক্তস্বপ্নাববোধস্য যোগের্ভবতি তুঃখহা ॥” ভগবদগীতা ।

+ যে সকল ঋধি সমাধি অবলম্বন কfরতেন, তাহারা নিশ্চেষ্ট জড়ের ন্যায় অবস্থিত্তি করিতেন । কথিত আছে