বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( هان ) অরণ্যে বাস করিতেন ষে গ্রন্থে লিখিত আছে, মুনিপন্থী মুনিকন্যা ও মুনিপুত্র প্রভৃতি পরিবারের কথা সেই সকল গ্রন্থেই আছে। ঋষিগণ অনাহারে ষাট হাজার সত্তর হাজার বৎসর কাটাইতেন ষে গ্রন্থে লিখিত আছে, সেই গ্রন্থেই আবার রাজন্যকুলের যাগ যজ্ঞ শ্ৰাদ্ধ শাস্তিতে পঙ্গপালের ” ন্যায় নিমন্ত্রণ থাইতে ঘাইতেন লিখিত আছে। সুতরাং ইহা অতি সহজে বুঝা যায় যে মুনিগণ অরণ্যে বাস করিতেন, তাহাদিগের স্ত্রী পুত্র পরিবারও ছিল, নিমন্ত্রণ আমন্ত্রণ লোকলৌকিকতাও ছিল, এবং তাহার। অত্যন্ত ইন্দ্রিয়সং যমশীলও ছিলেন । সুতরাং - ইন্দ্রিয়সংযম বলিলে যে ইন্দ্রিয়গণের ক্রিয়াহীনতা বুঝায়, ইহা পূৰ্ব্ব তন মুনিগণের জীবনে লক্ষিত হইতেছে না । তবে নারদ, তাহার। মুত্তিকাতে প্রোথিত হইলেও সেই ভাবে থাকিতেম । এ কালেও এক ব্যক্তি একজন ইউরোপীয়কে ঐ রূপ অবস্থা দেখাইয়াছিল। সুতরাং বল্মীকাদিতে প্রোথিত এবং বহুকাল অনাহার থাকার যে প্রবাদ আছে তাহা ঐ ব্যাপার হইতে নিঃসন্দেহ উপস্থিত হইয়াছে । যোগবশিষ্ঠে রাম বশিষ্ঠকে এই বিষয়ের কারণ জিজ্ঞাস করাতে তিনিও সমাধিতে সমুদায় ধাতুর সাম্য বশতঃ জড়ের ন্যায় অবস্থিষ্টি হয় বলিয়াছিলেন। কাল যে মনের কল্পনাসুভূত তাহা স্পষ্টই উল্লিখিত হষ্টয়াছে, “কল্পং ক্ষণীকরোত্যস্তঃ ক্ষণং নয়তি কল্পতামৃ ” যদি সমাধিতে এইরূপই হয়, তবে উহ অসাধারণ ব্যাপার, কদাচ সাধারণ নহে। অনেক প্রাচীন গ্রন্থকার ওরূপ অবস্থার নিদাও করিয়াছেন ।