পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৮২
নব্য জাপান

ফেলে। তাহাদের বিশ্বাস আত্মহত্যায় ইহকালে যশঃ ও পরকালে স্বর্গলাভ হইয়া থাকে। জাপানের প্রাচীন ধর্ম্মশাস্ত্রে লিখিত আছে যে, মানবমাত্রেরই আত্মজীবন রক্ষা ও বিনষ্ট করিবার অধিকার আছে। বর্ত্তমান রাজবিধানে “হারা-কিরি” গুরুতর অপরাধ বলিয়া উক্ত হইয়াছে।

 জাপানের শিমোজ বারুদ পৃথিবীমধ্যে বিখ্যাত। জাপানী অধ্যাপক শিমোজ দীর্ঘকালব্যাপী পরিশ্রম ও পরীক্ষার পরে ইহা প্রস্তুত করেন। তাঁহারই নামানুসারে ইহার নাম শিমােজ বারুদ হইয়াছে। এরূপ অসাধারণ বিস্ফোটন-শক্তিসম্পন্ন বারুদ পৃথিবীর কোন বৈজ্ঞানিক এ পর্য্যন্ত আবিষ্কার করিতে পারেন নাই।

 জাপানী অধ্যাপক ওমােরি ভূমিকম্পের গতি ও স্থিতি পরিমাপক যে যন্ত্র প্রস্তুত করিয়াছেন, তাহা পাশ্চাত্য পণ্ডিত মিল্নির যন্ত্রাপেক্ষা বহুপরিমাণে কার্য্যকরী হইয়াছে। সম্প্রতি এই যন্ত্রের সাহায্যে সিমলাশৈল হইতে ২০০০ মাইল দূরবর্ত্তী স্থানের ভূমিকম্প অবগত হওয়া গিয়াছে।

 ১৮৯৪ অব্দের ২৯শে জুন তারিখে জাপানী অধ্যাপক কিটা সাটো হংকং দ্বীপে উপস্থিত থাকিয়া প্লেগের বীজাণু আবিষ্কার করেন। এক্ষণে পৃথিবীর সর্ব্বস্থানে কিটাসাটোর মতানুসারেই এই ভয়াবহ ব্যাধির নিদানতত্ব স্থিরীকৃত হইতেছে।

 চিকিৎসাশাস্ত্রে জাপান অনেক উন্নতি সাধন করিয়াছে। সংপ্রতি জাপানের সুবিখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার শিগা আমাশয় রােগের জীবাণু আবিষ্কার করিয়া পাশ্চাত্য জগতের চিকিৎসকগণকে চমৎকৃত করিয়াছেন। ডাক্তার শিগা আমাশয়গ্রস্ত রােগীর