পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নব্য জাপান
৮৩

শােণিতে ঐ জীবাণু দেখিতে পাইয়াছেন। আর একজন জাপানী চিকিৎসক পশু পক্ষী প্রভৃতি জীবের অন্ত্র হইতে এক প্রকার রস প্রস্তুত করিয়াছেন, ঐ রস মুমূর্ষু রােগীর শরীরে প্রবেশ করাইয়া দিলে সেই মুমূর্ষুর জীবনীশক্তি কিয়ৎকালের জন্য সতেজ হইয়া উঠে।

 “গেইসা” জাপানের নৃত্যকারিণী রমণী। এই অপ্সরানিন্দিত সুন্দরী সঙ্গীতবালিকাগণের নৃত্য দর্শন ও গীত শ্রবণ জন্য জাপানীরা বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করিয়া থাকে। ইহাদিগের কমনীয় মুখশ্রী, বিচিত্র বেশবিন্যাস ও অঙ্গভঙ্গিমা প্রভৃতি দর্শন করিলে বোধ হয়, যেন জগতের চক্ষু পরিতৃপ্ত করিবার জন্য গেইসা সুন্দরীর সৃষ্টি হইয়াছে। গেইসাদিগের চরিত্র দূষিত নহে। ইহারা পিতা, মাতা, ভ্রাতা প্রভৃতি অভিভাবকগণের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে থাকিয়া নৃত্যগীতাদি করিয়া থাকে। উপযুক্ত সময়ে বিবাহ হইলে আর কখনও সাধারণ সমক্ষে বহির্গত হইতে বা গীতাভিনয় করিতে পারে না।

 জাপানিদিগের ভদ্রতা ও নম্রতা শিক্ষা করিবার বিষয়। তাহারা কথায় কথায় ধন্যবাদ ও নমস্কার করিয়া থাকে। গুরুজনকে আমাদের মত জানু অবনত করিয়া প্রণাম করিয়া থাকে। জাপানে মারামারি অথবা ঝগড়া বিবােধ প্রায় দেখা যায় না। জাপানী ভাষায় কুৎসিত গালাগালির প্রতিশব্দ নাই। বিশেষ রাগের কারণ হইলে লােকে “বাকা” অর্থাৎ বােকা বলিয়া গালি দিয়া থাকে। এখানে গৃহাভ্যন্তরে চর্ম্মপাদুকা লইয়া যাওয়া বিশেষ নিষিদ্ধ, এইজন্য অনেকেই বস্ত্রপাদুকা ব্যবহার করে।

 জাপানে “সাতজুমা” অর্থাৎ মল্ল উপাধিধারী একটী প্রসিদ্ধ

 ( ১২ )