বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ্ক-গঠন ও দেশোন্নতি శిహి (৪) যে সকল লোক ব্যাঙ্কে টাকাকড়ি জমা রাখিয়াছে তাহাদের পরম্পর দেনা-পাওনা কাটাকাটি করা । এ জন্ত টাকার চলাচল আবহুক হয় না । ব্যাঙ্কের খাতা-পত্রে একজনের জমা হইতে খরচ লিথিয়া আর একজনের হিসাবে জমা করা হয় মাত্র । খাটি ব্যাঙ্কিং বলিলে এই কারবারটার কথাই খুব বেশী মনে পড়ে। ব্যবসায়িমহলে এই কাও অহরহ চলিতেছে । (৫) ব্যবসাদারদের “চিঠিপত্ৰ” বা কাগজ “ভাঙানো” । বর্তমান জগতে এই কাগজ-বস্তুটার রেওয়াজ খুব বেশী। রামার নিকট টাকা পাইবে শু্যাম । রামা দিল শু্যামাকে একখানা চিরকুট । শু্যাম৷ এই চিরকুটের জোরে আবকুলের নিকট হইতে মাল খরিদ করিল। আবদুল শেষ পৰ্য্যন্ত রামার নিকট টাকা সমঝিয়া লইতে আসিল । রামার নিকটও আসিবার দরকার নাই । রাম যে ব্যাঙ্কের সঙ্গে কারবার করে সেই ব্যাঙ্কই আবদুলকে চিরকুটটা ভাঙাইয়া দিবে। এই হইল অতি সহজ ধরণের বাণিজ্য-কাগজ । এই চিরকুটটা যখন এক সহর হইতে অীর এক সহরে যায় অথবা যখন এক দেশের লোক আর এক দেশের লোকের নামে চিরকুট ঝাড়ে, তখন তাহার নাম হয় আর-কিছু। এই সব পারিভাষিকে সম্প্রতি প্রবেশ করিবার দরকার নাই । তৃতীয় শ্রেণীর *কাগজ” হইতেছে “চেক” । আর এক প্রকার কাগজ হইতেছে গুদাম-জাত মালপত্রের সার্টিফিকেট বা রসিদ। এই কাগজট দেখিয়া ব্যাঙ্ক বুঝে যে কাগজ ওয়ালার তাবে অমুক জায়গায় অত পরিমাণ মাল আছে । আবাদের ফসল সম্বন্ধেও এইরূপ গুদামি রসিদ চলিতে পারে। এই সকল রকমারি কাগজ, চিরকুট, হুণ্ডি, চেক, রসিদ ভাঙানো ব্যাঙ্ক-ব্যবসার বড় কাজ । এই দিকে বাঙালীর হাতেখড়ি মুরু হইতেছে মাত্র । (৬) মক্কেলদের জন্ত ভিন্ন ভিন্ন লোকের নিকট হইতে তাহাদের