বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘LO নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন পাওনা টাকাকড়ি আদায় করিয়া দেওয়া । (৭) এক সহর বা দেশ হইতে অন্ত সহরে বা দেশে টাকা পাঠাইবার জন্য বাটা আদায় করা হইয়া থাকে । (৮) ভিন্ন ভিন্ন সহরে এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশের রকমারি '*কাগজের” সওদা করা। এক স্থানের কাগজ কিনিয়া অন্ত স্থানে বেচা হইয়া থাকে। টাকা চলাচলের দরকার উঠিয়া যায় ( ৪নং দ্রষ্টব্য )। এই ধরণের কাগজ ভাঙাভাঙি করা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে একটা মস্ত ব্যবসা । বাঙালী এখনো এই পথের পথিক হইতে শিখে নাই বলিলেই চলে । বর্তমান জগতের ইহা একটা বিশেষত্ব। এই হিসাবে বাঙালীরা এখনো বর্তমান জগতের লোক নয় । (৯) “কাগজ”গুলা লইয়া অন্তান্ত ভাঙাভাঙি ও স্বতন্ত্র কারবার। তাহার একটাকে বলে কাগজ “ডিস্কাউণ্ট” করা। আবদুলের সইওয়াল অর্থাৎ দেনার স্বীকারওয়ালা কাগজটা রামার নিকট হইতে লইয়া কোনো ব্যাঙ্ক যদি তাহাকে তৎক্ষণাৎ নগদ টাকা সমঝিয়া দেয় তাহা হইলে ব্যাঙ্ক কাগজটা “ডিস্কাউণ্ট” করিল। এই ডিস্কাউণ্ট কাণ্ডে ঝুকি অনেক, বলাই বাহুল্য। কিন্তু যে-দেশে ব্যাঙ্ক এই ঝুঁকি লইতে সাহসী হয় না, সেই দেশে ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান আছে বলিয়া স্বীকার করা চলে না । এই কষ্টিপাথরে ঘষিলে দেখিব বাঙালীসমাজ এখনো প্রায় ব্যাঙ্ক-হীন অবস্থায়ই যেন রহিয়াছে। 瞳 কাগজ ভাঙাইবার আর এক কায়দাকে ফরাসীতে বলে “আকৃসেপ - তাস”, জাৰ্ম্মাণে “আকৎ সেপ টু”, আর আমাদের চলতি ইংরেজি *অ্যাকসেপ্ট্যান্স” । সোজা কথায় কাগজ স্বীকার করা বুঝিতেছি । এই “স্বীকার” বা “গ্রহণ” করাট নগদ টাকা দিয়া দেওয়ার সামিল নয় । ব্যাঙ্ক কাগজটার উপর সহি দিয়া বলে মাত্র,—“যছ, তোর মালপত্র বা সম্পত্তি বা পুজি সম্বন্ধে আমার বিশ্বাস আছে”। ষদ্ধ ব্যাঙ্কের এইরূপ