বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন واCا ^^^^^^^^^^^^^^^^AL w AAA AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAA AAAA AAAAeAeeeS চেক যখন আছে, তখন এটা ভাঙ্গাইয়াই লওয়া যাইবে। যাক, তিনি বলিলেন, “এই চেক লইয়া আমি কি করিব” ? বলিতে কি, তাহার মত অত বড় শিক্ষিতকেও আমায় বুঝাইতে হইল তিনি চেক দিয়া কি করিবেন । কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে শেষ পৰ্য্যন্ত তাহাকে কিছুতেই চেক লইতে রাজী করিতে পারিলাম না । তিনি বলিলেন, “ধরুন, যদি ব্যাঙ্কটা উঠিয়াই যায় !" এই তো ইতালির অবস্থা। অবগু সকল ইতালিয়ান পণ্ডিতই এমন হুসিয়ার, এরূপ ভাবিবার কারণ নাই । চেকের চলন আমার বক্তব্য হইতেছে যে, কেবল বাংলা দেশই দুনিয়ার একমাত্র দেশ নয়, যেখানে লোকেরা ব্যাঙ্ক বা চেক বোঝে না ; পরস্তু সুয়েজের ওপারেও ঠিক এমনি দেশ আছে—সেইটি হইতেছে, মহাকবি ভাজ্জিলের দেশ । চেক জিনিষটা ইতালির জনসাধারণ বোঝে না—হয়ত দশ বিশ জন, দুশ পাচশ লোকে জানে বা বোঝে | কিন্তু জাতকে জাত এ বস্তুটা বোঝে, একথা কোনো মতেই বলা চলে না বা স্বীকার করা যাইতে পারে না। তাহার অনেক পরিচয় আমি ইতালির পল্লীতে সহরে পাইয়াছি । দশ বিশজন হয়ত বা ব্যাঙ্কে টাকা রাখিল বা ব্যাঙ্কের সঙ্গে লেনা দেন চালাইল, কিন্তু জাতকে জাত ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখে—এমন জিনিষ ইতালিতে এখন পৰ্য্যন্তও সম্ভব হইয়া উঠে নাই । জাৰ্ম্মাণ দেশটাতেই এই মাত্র পচিশ ত্রিশ বছর হইতে চেক চলিয়া আসিতেছে। যুদ্ধের পূর্ব পর্য্যন্ত এমন কি ইংলণ্ডেও চেকের চল বড় বেশী ছিল না । শুধু প্রাচ্যেই ইহার একমাত্র অভাব পরিলক্ষিত হয়, এইরূপ ভাবিলে আমাদের উপর অবিচার করা হইবে । পোল্যাও, বুলগেরিয়া, রুমাণিয়া প্রভৃতি ইয়োরোপের অনেক দেশে এখনও চেকের চলন হয় নাই ।