পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ্ক গঠন ও দেশোন্নতি ©ፃ পশ্চিম খ্ৰীষ্টিয়ানদের অনেকেই আমাদের পূরবী হিন্দু-মুসলমানের অবস্থায়ই রহিয়াছে । জাৰ্ম্মাণ ব্যাঙ্কের ত্রিশ বৎসর এইবার আরও গুরুতর কথা বলিব । এক সময়—সে বড় বেশী দিনের কথা নয়—এই ব্যাঙ্ক কথাটা ইতিহাসেই ছিল না, ইয়োরোপে ব্যাঙ্কবস্তু দেখা যাইত না । জাৰ্ম্মাণির কথা বলিলেই বেশ পরিষ্কার বুঝা যাইবে । জাৰ্ম্মাণিতে—যেখানে কিনা আজ প্রকাও প্রকাও ব্যাঙ্ক দেখিতে পাইতেছি—সেখানে ব্যাঙ্কগুলা মাত্র সেইদিন গড়িয়া উঠিয়াছে। আজ জাৰ্ম্মাণিতে অনেকগুলি “ডে” ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত দেখিতে পাইতেছি । “ডি” ( যাহার জাৰ্ম্মাণ উচ্চারণ হইতেছে “ডে” ) অক্ষর দিয়া যে সকল নাম স্বরু হয়, সেইগুলিকে বলে “ডে” ব্যাঙ্ক । এইগুলির একটু আশ্চৰ্য্যরকম ইতিহাস রহিয়াছে। ইহা বুঝিতে হইলে ১৮৭০ সনে ফিরিয়া যাইতে হয় । ১৮৭০ সনে এমন কোনো ব্যাঙ্ক জাৰ্ম্মাণিতে ছিল না যাহার কিনা আর একটি মাত্র স্বতন্ত্র শাখা-আফিসও ছিল । এই সময় “ড্যয়চে বাঙ্কে”র পর্যন্ত মাত্র একটা আফিস ছিল । এই যদি ১৮৭০ সনের জাৰ্ম্মাণি হয়, তাহা হইলে তাহাকে প্রাচ্য না প্রতীচ্য বলিব ? সেই যুগে বড় বড় ব্যাঙ্কগুলার সমবেত মূলধন ছিল মাত্র আট কোটি টাকা । ১৮৭৩ থেকে ১৮৯৫ পর্য্যন্ত পচিশ বছরে মূলধনের দৌড় ত্ৰিশ কোটিতে গিয়া পৌছাইয়াছিল। ইহা হাতী-ঘোড়া এমন কিছু নয়। আজকালকার ভারতবাসীর পক্ষে ইহা কল্পনা করা আর নেহাৎ অসাধ্য নয়। ১৯• • সন পর্য্যন্ত ত্রিশ বৎসরের মধ্যে লওন সহরে একটা শাখা স্থাপন করিবার সাহস *ড্যয়চে বাঙ্ক" ছাড়া আর কোনো জাৰ্ম্মাণ ব্যাঙ্কের হয় নাই। তাছা