বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ১৯২৬ সনের বাণী আমরা এই বিশ বৎসরে বেশী দূর অগ্রসর হইতে পারি নাই। আমাদের কৃতিত্ব যারপর নাই ছোট দরের । আজ ১৯২৬ সন । আজ কি দেখিতে পাই ? জগৎ অনেকখানি অগ্রসর হইয়া গিয়াছে। যুবকভারত আসিয়া ঠেকিয়াছে অল্প দূরে মাত্র। চোখের সামনে, এই ধরুন বিলাতী "লেবার পার্টি"র কথা। বিশ বছর আগে ইহার কথা কেহই জানিত না—লেবার পার্টি বলিয়া এমন কোনো জিনিষই ছিল না। আজ এই বিশ বছরের চেষ্টায় তাহা গোটা দেশের শাসন কাজে তাহদের মধ্য হইতে একজন প্রধান মন্ত্রী পৰ্য্যন্ত নিয়োগ করিতে পারিয়াছে। আর ছনিয়ার সর্বত্রই মজুর-রাজ না হয় মজুর-ঘে সা দলের রাজত্ব চলিতেছে। ১৯০৫ সনের যুগে ইয়োরোপের বিকার-গ্রস্ত নরনারীও এসব কল্পনা করিতে পারিত না । কিন্তু আমরা ভারতে ১৯০৫ সনের পর হইতে এতখানি অগ্রসর হইয়া আসিতে পারিয়াছি কি ? পারি নাই। যাক সে কথা । আমাদের জাতটাকে আমরা নূতন করিয়া গড়িয়া তুলিতে চাই। হেগেল, ম্যাক্সমুলার ইত্যাদি পণ্ডিতের মতন পাপী আর নাই। তাহারা র্তাহীদের মন-গড়া দর্শন দিয়া ভারত-সন্তানকে ভারতীয় চরিত্র সম্বন্ধে অসংখ্য বুজরুকি শিখাইয়াছেন । সেই পাপ বাংলার মগজ হইতে ঝাড়িয়া বাহির করিয়া দিতে হইবে । ইহারাই প্রাচ্য-প্রতীচ্যের ব্যবধান স্বষ্টি করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু পুরবই বা কোথায় আর পশ্চিমই বা কোথায় ? পূরব-পশ্চিমের মধ্যে তো মাত্র পঞ্চাশ-যাট বছরের তফাৎ। এখন কথা হইতেছে, আমরা এই পঞ্চাশ বছর দখল করিতে পারিব কি ? ভারতে অনেক বড় বড় যুগ চলিয়া গিয়াছে। মৌর্ধ-চন্দ্রগুপ্তের যুগ, মারাঠামোগলদের যুগ । সে সব আজ “সেকেলে” কথা। আবার