বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ্কর গঠন ও দেশোল্পতি 3X ১৯০৫ সনের স্বদেশী যুগ । f*به ه-» ه ه د چ এইটাকেও অাজ “প্রাগৈতিহাসিক যুগ” বলিতে চাই । ইহাকে “সেকেলে,” মান্ধাতার আমল, প্রত্নতত্ত্বের যুগ বলিতে চাই । ইহার মোহে অন্ধ হইয়া থাকিলে চলিবে না। চাই জীবনের বাড়তি, চাই নবীন জীবনবত্তা । দুনিয়ার ১৮৬০-১৮৭১ সনের কোঠায়ই আমরা ভারতে আজও রহিয়াছি । কথাটা বিনা গ্নোজামিলে স্বীকার করা কর্তব্য । আমরা কতখানি পশ্চাৎপদ তাহা একটা কথা বলিলেই মালুম হইবে । ১৮৭০ সনের যুগে প্রাথমিক শিক্ষণ দুনিয়ার সকল সভ্যদেশে সাৰ্ব্বজনীন ও বাধ্যতামূলক হয়, যাহা কিনা ভারতে বর্তমানেও নাই । আর এই যে বিলাতী, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ ব্যাঙ্কগুলার কথা বলা হইল, সে সবও ১৮৭০ সনের এ-পিঠে আর ও-পিঠে মাথা খাড়া করিয়াছে । যুবক বঙ্গের নবীন সাধন আমাদের আজ ছোট হইতেই কাজ আবম্ভ করিতে হইবে । বাংলায় যে দেড়শ-দু’শ “লোন অফিস” আছে, তাহাদিগকে খাটি ব্যাঙ্কে পরিণত করিতে হইবে । ১৯২৬ সনের যুবক-বাংলার পক্ষে এই হইতেছে অন্ততম বিপুল সাধনার ক্ষেত্র। আমাদের গোটা জাতের নিকট এই এক বিরাট সমস্তা । এই সব লোন-আফিসকে খাটি ব্যাঙ্কে পরিণত করার পর কলিকাতার কোনো কোনো সেন্টাল আফিসে এই প্রতিষ্ঠানগুলাকে কেন্দ্রীভূত করা আমাদের দ্বিতীয় সমস্ত । ইহার ফলে গোটা বাঙালী জাতের ধনশক্তি কতকগুলা বড় বড় ঘাটিতে জমাট বাধিয়া উঠিতে থাকিবে । আর সেই ধনশক্তির সাহায্যে নরনারীর আর্থিক উন্নতি সাধন করা এবং নতুন নতুন পল্লী-সহর গড়িয়া তোলা হইতেছে আমাদের নবীন জীবন-দর্শনের প্রাথমিক বনিয়াদ ।