বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ংলাদেশে বাঙ্গালীর ভাবে আধ-কোটি বা কোটি টাকা মূলধনের ব্যাঙ্ক অল্পকালের ভিতরই গড়িয়া উঠিতে পরিবে বলিয়া আমার বিশ্বাস। মফঃস্বলের বিভিন্ন বাঙ্কের সমন্বয়ে এক একটা "কেন্দ্রীকৃত” ব্যাঙ্ক গড়িয়া উঠিবার সম্ভাবনা আছে। বিলাত, জাৰ্ম্মাণি, আমেরিকা ইত্যাদি দেশের ব্যাঙ্ক-গঠন গত শতাব্দীতে ধাপের পর ধাপে যে-প্রণালীতে উঠিয়াছে, ভারতেও সেই প্রণালীরই দি বিজয় দেখিতে পাইব। বাঙ্গালীর আর্থিক অভিজ্ঞতা পাকিয়া উঠিতেছে। যুবক-বাংলাকে অনতিদূর ভবিষ্যতে বড় বড় পুজিওয়ালা ব্যাঙ্ক পরিচালনার দায়িত্ব লইতে হইবে। সম্প্রতি এই বিষয়ে আর কিছু বলিতে চাই না। তবে শুধু একটা প্রস্তাব করিব। বাংলাদেশে আজকাল ব্যাঙ্কব্যবসায়ে অন্ততঃপক্ষে হাজার চার পাঁচ লোক লাগিয়া আছেন। কেরাণী হিসাবে, ম্যানেজার হিসাবে, খাত্তাপত্রের পরীক্ষক হিসাবে, আর ডিরেক্টর হিসাবে এতগুলি বাঙালী ব্যাঙ্ক লইয়া ঘাটাঘাটি করিতেছে। এই সকল অভিজ্ঞতাওয়ালা লোকের বাৰ্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক। মফঃস্বলের কোনো কোনো কেন্দ্রে অথবা কলিকাতায় তাহারা মাঝে মাঝে সম্মিলিত হইতে থাকুন। বাঙালী ব্যাঙ্কের বর্তমান অবস্থা আর তাহ উন্নত করিবার উপায় সম্বন্ধে কৰ্ম্মদক্ষ ও চিন্তাদক্ষ লোকেরা মিলিয়া মিশিয়া পরামর্শ করুন। “বঙ্গীয় ব্যাঙ্ক-সঙ্ঘ” নামে একটা প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনের দায়িত্ব লহতে পারে।