বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্য-দৈব বীমা 8ጫ বা জানার সঙ্গে তালে তালে পা ফেলিয়া অসংখ্য লোক যখন এক সঙ্গে মাতোয়ারা হইয়া ছুটিয়া চলে, তখন এমন কেহ থাকেনা যে মৃত্যুর কথা ভাবিতে পারে। যাহা হয় হউক এই ভাবিয়া তাহারা হুজুগে ছুটিয়া চলে । তাহারা ভাবে “আমি গেলাম, না হয় লড়াইয়ে মরিতে। আমার স্ত্রীপুত্র পরিবার, বাপদাদা, মাসপিসী ইহাদের ভারত একজন লইতেছে ?” মহাভারতের অাদর্শ মহাভারতেও এ প্রশ্ন, এ সমস্ত উঠিয়াছিল । অমুক রাজাকে কোন ঋষি জিজ্ঞাসা করিতেছেন,"মহারাজ, এই যে লোকের লড়াইয়ে যাইতেছে, ইহারা মারলে ইহাদের পরিবার-প্রতিপালনের দায়িত্ব লইয়াছ ত ?” এইখানে কথা এক্ট, যাহারা যুদ্ধে যায় তাহাদের পরিবারের ভরণপোষণ করে রাষ্ট্র। যুদ্ধে এক লক্ষ কি বিশ পচিশ হাজার জাপানী শ্রেণীবদ্ধভাবে জুতো পায়ে, মদ খাইয়া সঙ্গীত গাহিয়া চলিল। কারণ তাহারা জানে যাহারা তাহাদের উপর নির্ভর করিতেছে, তাহাদিগকে, যাহারা দেশে রহিল তাহারা প্রতিপালন কবিবে। কাজেই তাহদের ভাবনা নাই । জাৰ্ম্মণি, ফ্রান্স, ইংলণ্ড, আমেরিকা সৰ্ব্বত্রই তাই । রাইনল্যাণ্ডের জাৰ্ম্মাণ দৃষ্টান্ত ধরুন জাৰ্ম্মাণিতে এই রাইনল্যাও লইয়া কি বিপুল আন্দোলন হইয়াছে। তাহারা বলিতেছে “আমরা না থাইয়া মরিয়! যাইতেছি, জাৰ্ম্মণি রসাতলে গেল” ইত্যাদি । এই সময় কয়জন লোক, কয়জন , উকিল, ডাক্তার, নিজের গাট হইতে পাঁচ টাকা চাদ দিয়া কোনো ছঃস্থ লোককে উদ্ধার করিয়াছে ? অতি কম । এই জাৰ্ম্মাণ জাতির যাহারা মরিয়া যাইতেছে, নিজের দেশের সেসব লোকের জন্ত, তাহাদের পরিবারের লোকের জন্ত দান-ধ্যান করিতেছে, এমন লোক অতি অল্পই আছে ।