বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্য-দৈব বীমা @ > বিসমার্ক। র্তাহাকে লোকে লড়াইয়ের বিসমার্ক বলিয়া জানে। যিনি ফরাসীকে কুপোকধা করিয়া রাষ্ট্রনীতির দ্বারা সমস্ত ইয়োরোপকে ভেদ করিয়া জাৰ্ম্মাণিকে বড় করিয়াছেন, সেই বিসমার্ক । আমি বলিতে চাই, সেইটি তাহার অন্যতম বড় কাজ বটে। কিন্তু আর একটা বড় জিনিষও তাহার মাথা হইতে বাহির হইয়াছে। সে জিনিষ জগতের এক অপূৰ্ব্ব অমৃত । সেইটা এই—মানুষের ব্যাধি,বাৰ্দ্ধক্য, মৃত্যু হয় ; কিন্তু মানুষকে ব্যাধিজয়ী, বাৰ্দ্ধক্যজয়ী, মৃত্যুঞ্জয়রূপেও গড়িয়া তোলা সম্ভব। এ সকল দুঃখের প্রতীকারের ষে উপায়, তাহাকে বিসমার্ক আইনবন্ধ, শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া খাড়া করিয়াছেন। আমরা মন্তর আওড়াইয়া থাকি : — “জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমোনমঃ” তেমনি এই যে বিংশ শতাব্দী চলিতেছে তাহার স্বত্রপাতের যুগে মানবজাতির জন্য যে হিত-প্রণালী আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার প্রবর্তক সম্বন্ধেও বলা চলে— “জগদ্ধিতায় বিসমার্কায় জাৰ্ম্মাণায় নমোনমঃ ।” ভারতবর্ষ বীমা শব্দ জানে না তা নয়। এখানে বীমা কোম্পানী রহিয়াছে। কিন্তু ইহা এক জিনিষ, আর জাৰ্ম্মাণিতে এবং জাৰ্ম্মাণির দেখাদেখি অদ্যান্ত দেশে যাহা রহিয়াছে সে অার এক জিনিষ । বিসমার্ক বর্তমান জগতের অন্ততম যুগ-প্ৰবৰ্ত্তক । ইতালির দুরবস্থা এই যে “সামাজিক” আইনকানুন ইহাতে সাধিত হইতেছে কি ? আজি যে গণতন্ত্র-প্রতিষ্ঠিত সমাজ গড়িয়া উঠিতেছে, এইটা তাহার একটা ফল-বিশেষ। তাহার ভিত্তিও বটে। একজন ইতালিয়ন পণ্ডিত বলিতেছেন, “ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্য-দৈব বীমা ইত্যাদি সমাজ-ঘটিত বীমা বিষয়ক