বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(*२ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আইন-কাকুন কোন ধনী, বদান্ত ব্যক্তির দান নয়। দুনিয়ার সকল সভ্যদেশেই এ জিনিষ গোটা দেশের সাৰ্ব্বজনীন বনিয়াদরূপে গড়িয়া উঠিয়াছে। কিন্তু ইতালিতে যখন এই রকম আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল, খবরের কাগজওয়ালারা বলিল ‘এতবড় কঠিন, হুরাকাজক্ষাপূর্ণ জিনিষ,—আমাদের দেশে হওয়া সম্ভব নয়।” আর আজ যতটুকু বীমা-প্রথা ইতালিতে প্রচলিত আছে, তাহার ভিতর দেখিতেছি কেবল ব্যভিচার আর দুনীতি।” অন্ত দেশ অপেক্ষা ইতালির সঙ্গে বোধ হয় ভারতের তুলনা বেশী চলিতে পারে। এই রকম প্রস্তাব উঠিলে আমাদের দেশের লোকও বলিবে—"জিনিষটা এত কঠিন, এ দেশে চলিবে না।” ইতালিয়ান পণ্ডিত আবার বলিতেছেন—“ইহাতে বুঝিতে হইবে আমরা অনভিজ্ঞ । জিনিষটা আমরা বুঝিতে পারি না। সকল সভ্যদেশের মাপকাঠিতেই আমরা একেবারে জঘন্ত জাতি। এই যে বাৰ্দ্ধক্য, দৈব, মৃত্যু এবং ব্যাধি চার রকমের বীমা, আজ যাহ সমস্ত সভ্যজগতে অ, আ, ক, খ হইয়া গিয়াছে, সে জিনিষের একটা মাত্র ইতালিতে সবে মুরু হইয়াছে, লেইটা দৈব বীমা ।” ইতালিয়ানরা কোন অবস্থায় রহিয়াছে, তাহার তুলনায় আমরা কোথায় আছি, ঐতিহাসিক ভাবে সে আলোচনা সম্প্রতি করিব না। বিসমার্কের মাথাটা লইয়া, মাথার ভিতরকার “ঘিলুটা” লইয়া কিছুক্ষণ কাটাইতে চাই । দেড় কোটি জাৰ্ম্মাণের ব্যাধি-বীমা বিসমার্ক দেখিল, মানুষ যখন জন্মিয়াছে তখন তাহার অমুখ হওয়ার সম্ভাবনা আছে । অমুখ যদি হয়, তাহার জন্ত দায়ী থাকিবে কে ? আমর) বলিব, “ব্যক্তি স্বয়ংই দায়ী।" উহার বলিতেছে"তাহ পুরাপুরি ঠিক নয়।