বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্য-দৈব বীমা ○ ● গোটা সমাজ বা দেশকে সেইজন্ত দায়ী করিতে হইবে।” পাঁচ কোটি বাঙ্গালীর মধ্যে আমি একজন, আমার অসুখ হইয়া থাকে সেইটা আমার ব্যাপার, আমার পয়সা না থাকে আমি ভিন্ন আর কে সেজন্য দায়ী থাকিবে ? উহারা বলিতেছে “দেশও সেজন্য দায়ী।” খালি বলিলে হইবে না । আমি কোন না কোন জায়গায় চাকুরী করি। যে আমাকে অন্ন দিতেছে তাহার দায়িত্ব আমার জীবন সম্বন্ধে রহিয়াছে। আমাকে বাচাইয়া রাখার জন্য প্রথম দায়িত্ব অন্ন-দাতার, দ্বিতীয় দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কারণ রাষ্ট্র সকলকে মানুষ করিয়া বঁাচাইয়া রাখে । অবশ্য নিজের দায়িত্বও আছেই। রামচন্দ্র পোদার ১০০ টাকার চাকুরী করে, কি ইস্কুল মাষ্টারী করে। আফিসে হউক, কারখানায় হউক, মজুর ভাবে হউক, কুলীরূপে হউক, কেরাণীরূপে হউক, দুনিয়ার সকল দেশেই বহু লোক চাকুরী করে । ১০০\ টাকা যদি একজনের মাহিয়ান হয়, বীমা-ভাণ্ডারে ধরা যাউক যে টাকা কারখানার মালিক দিল, ৫২ টাকা নিজে দিল, ৫২ টাকা গবর্ণমেণ্ট দিল, মোট ১৫ টাকা মাসে মাসে জমা হইতে লাগিল । এইভাবে টাকা জমা হইতে থাকিলে, যখন তাহার অসুখ হইবে, তখন তাহার মা-বাপ, সী-ছেলের দায়িত্ব কিছু নাই। তাহার যে মনিব অন্নদাতা সে তাহাকে এম্বুল্যান্স গাড়ীতে করিয়া হাসপাতালে পাঠাইবে । হাসপাতালে যত শীঘ্র অমুখ সারে সে চেষ্টা হইবে । তাহা যদি সে করে, তবে বলিব তাহার দায়িত্ব পালন করা হইল । যখন আমি চাকুরা করিতে ঢুকিয়াছি তখন আমার মনিব এই রকম ভাবে আমাকে বাচাইতে আইনতঃ বাধ্য। যদি না করে তাহার বিরুদ্ধে নালিশ চলিবে, গভর্ণমেণ্ট মোকদ্দমা চালাইবে । তাহার নানারকম আইনকাহুল আছে । তাহার জন্ত স্বতন্ত্র উকিলের দরকার, খবরের কাগজের দরকার, ব্যাখ্যার দরকার হয়। বিপুল কাও । তাহা আমাদের কল্পনা করাও কঠিন ।