বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&b. নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বিধবা-সমস্যা একজন বিধবা দুইটি মেয়ে লইয়া পথের ভিখারী হইল। আমাদের দেশে বিধবা-সমস্তা যেমন আছে উহাদের দেশেও তেমনই আছে। মাথা থাটাইয়া জীবনকে কত উপায়ে মুখময় করা যায়, তাহার এক শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ইয়োরোপের বিধবা-সমস্তার মীমাংসা। বিসমার্ক ব্যবস্থা করিলেন তিন জনকে মাসে ষাট টঙ্কা দেওয়া হইবে। ভাবিয়া দেখুন বিধবার সব আছে, আসবাবপত্র বাড়ীঘর সব রহিয়াছে, স্বামী মরিয়া গেলে কিছু খরচ হইল ন। তাহার উপর ৬০ টাকা মাসে মাসে পাইতেছে। বিধবার, অনাথ শিশুর তাহা হইলে আর কাদিবে কেন ? বাস্তবিক পক্ষে চোখের জল ওসকল দেশে কমিয়া আসিয়াছে । আর আমাদের দেশে কান্নাকাটির বিরাম নাই। আপনার বলিবেন “স্বামীকে ভালবাসা আমাদের বিধবাদের একমাত্র ধৰ্ম্ম । আমাদের বিধবারা একেবারে সব সতীসাধ্বী এই জন্তই কাদে। যত অসতী সব ওদের দেশে ” প্রশ্ন করা যাউক —আমাদের দেশে বিধবারা যখন কাদে, কিসের জন্ত কাদে ? বাপ মরিলে আমরা যখন কঁাদি, কিসের জন্ত কঁাদি, একবার আলোচনা করিয়া দেখিয়াছেন কি ? আমরা বাস্তবের কিছু জানিনা। আমরা জানি একটা বোল—“পিতা স্বৰ্গঃ পিতা ধৰ্ম্মঃ পিতা হি পৱমং তপঃ” । কাজেই শাস্ত্র আওড়াইয়া আমরা তোতা পার্থীর মত বলিয়া ফেলি যে, ঐ শ্লোক অনুসারেই আমরা কাদিয়া থাকি,—বাপকে ভালবাসি বলিয়া । কিন্তু এইটা মিথ্যা হইতেও পারে। সমস্তাটা যুবক ভারতের মনে জাগিয়াছে কি ? বোধ হয় জাগে নাই, তাই তাহারা কল্পনারাজ্যে এখনও বিচরণ করিতেছে। বিসমার্কের মাথায় আসিল এই যে, স্বামী যখন মরিবে বিধবারা