বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্য-দৈব বীমা &సా কাদিবেই । এটা অতি স্বাভাবিক এবং প্রথম স্বীকার্য্য । কিন্তু বিধবার চোখের জল কমানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব নয়। অনেক বিধবা পশ্চিমা সমাজেও আছে, যাহারা মরা স্বামীর কথা ভাবিয়া কাদে । পুনৰ্ব্বিবাহের আইনতঃ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিবাহ করে না, এমন হাজার হাজার স্ত্রীলোক জাৰ্ম্মাণি, ফ্রান্স, ইংলণ্ডের সমাজে আছে । তাহা থাকা সত্বেও স্বামী মরিলে স্ত্রী কাদে ! বাপ মরিলে ঐ সকল দেশেও ছেলে কাদে । ভালবাসার মুল্লুক, স্নেহ-মমতা ভক্তি-শ্রদ্ধার রাজ্য,ধৃষ্টিয়ান-দেশে কম বিস্তৃত নয় । কিন্তু খাটি কথা, ক্রনন-তত্বে আসল ভালবাসার চিকু কতখানি আছে, অর্থ-চিন্তাই বা কতখানি আছে, যুবক ভারত একবার ভাবিতে সুরু করুন । বিসমার্ক বলিল “মাথা মুড়াইয়া মরা স্বামীর চরণ বুকে করিয়া থাকাই অথবা ঐ রকম কিছু করাই বিধবার একমাত্র কৰ্ত্তব্য নয়। বর্তমান জগতের বিধবাকে ধৰ্ম্মের দোহাই দিয়া ভুলাইয়া রাখা উচিত হইবে না। তাহদের জন্যও সম্পূর্ণ মানবত্বের নতুন নতুন সুযোগ তৈয়ারী করিয়া দিতে হইবে।” তাহাই হইয়াছে । বৰ্ত্তমান জগতের জন্ম ভারতে বোধ হয় এমন কোনো পরিবার নাই যেখানে বিধবা নাই, এমন কোনো পরিবার নাই যেখানে কাজ করিতে করিতে চাকুর্যে ৩৫।৩৮ বৎসর বয়সে মারা যায় নাই । তাহার ফলে এক একটা পরিবার হাহাকার করিতেছে, যেন আর কিছু করিবার নাই। হিন্দুসমাজে আমাদের ঠাকুরদাদাদের আমলে আমরা হাহাকার করিয়াছি, বিসমার্কের ঠাকুরদাদাদের আমলেও জাৰ্ম্মণরা তাহাই করিয়াছে । গ্যেটের আমলে এমন কোন ক্ষমতাবান জাৰ্ম্মাণ ছিল না যে চিন্তা করিতে পারিত যে, দেড় ছ’কোটি লোকের ভার লইবে কোনো এক প্রতিষ্ঠান। সেকালের