বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্য-দৈব বীমা Qo ঘোরতর তর্ক চলিতেছে, তেমনি বীমা-প্রথাটা গভর্ণমেণ্টের আইনের সাহায্যে চালানো উচিত, না লোকের স্বাধীন ইচ্ছার উপর ফেলিয়া রাখ+ উচিত, এই লইয়াও লড়াই চলিতেছে। দুই রকম তর্ক আছে। একটা হইতেছে “তুমি যখন শেয়ানা মানুষ, নিজে বুঝিতেছ অমুখে পড়িবে, মরিবে, তোমার বিধবা স্ত্রী থাকিবে, ছেলেপিলে না খাইয়া মরিবে, অতএব তাহদের ব্যবস্থার ভার তোমার উপর।” এ অতি সঙ্গত কথা, বিরুদ্ধে কিছু বলিবার নাই। উণ্টা তর্ক নিম্নরূপ—“গভর্ণমেণ্ট এখন বলিবে, তুই যদি না করিস তোকে করাইতে বাধ্য করিব।” এ আজগুবি চিন্তাপ্রণালী নয় । শিক্ষা-ক্ষেত্রে ইহার নজির আছে । আমরা ইস্কুলে পড়িব কিনা ? ঝি চাকরের ছেলে পড়িতে চায় না, উপজব মনে করে, ব্যয় করিতে পারে না—একথা আমরা বলিয়া থাকি । ঠিক তাহার উণ্টোও আছে । বহুত আচ্ছা, বাধ্যতামূলক একটা শিক্ষার বিধি কর, তবেই হইবে। তেমনি বীমা বিষয় লইয়া ধনী ও বিজ্ঞ মহলে বিপুল তর্ক চলিতেছে। আইন করা উচিত কিনা, করিলে বাধ্যতামূলক করা হইবে কিনা, সাৰ্ব্বজনিক করা হইবে কিনা ইত্যাদি । আর সেই আইনের প্রত্যেক শব্দ লইয়া তোলপাড় হইয়াছে, অনেক কাও হইয়াছে। এখানে খানিকটা দলিল দেখাইতে চাই—ফরাসীর দলিল । ফরাসী পণ্ডিতদের তর্ক ফরাসীদেশে এ লইয়া অনেক বিতণ্ডা চলিতেছে। ফরাসী ধন-বিজ্ঞানপরিষদের হোমরা-চোমরা লোকেরা তাহার বিরুদ্ধে লাগিয়াছে। তাহার অনেক কারণ আছে, একটা কারণ এই । ফরাসী পণ্ডিতেরা বলিতেছেন “বিসমার্ক এই কাজ করিয়াছিল কেন জান ? অবশু তাহার কোন মতলব ছিল। সে সময় কাল মার্কস নামে একটা লোক এবং তাহার বন্ধ