বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૨ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন এঙ্গেলস দুই জনে মিলিয়া জাৰ্ম্মাণিতে ভয়ানক আন্দোলন চালাইতেছিল । আর এক জন লোক তাহীদের তাবে আসিয়াছিল। নাম তার লাসাল । এই সময়ে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রীয় দল জাৰ্ম্মাণিতে প্রবল ছিল। তাহার বিরুদ্ধে দাড়াইল সোশ্বালিজম বলিয়া একটা জিনিষ। তাহারা মুটে মজুরের দল । সাম্রাজ্যবাদী দল জাৰ্ম্মণদেরকে বলিত “জাতীয়তা বা সামরিকতা ১৮৭০ সনে ফরাসীর হাড় ভাঙ্গিয়া চুরিয়া দিয়াছে। দরকার হইলে আবার লড়াই করিতে হইবে । সকলের মধ্যে একমাত্র কথা দেশ, তাহাকে বড় করিতে হইবে।” ইহাকেই বলে “দ্যাশন্যালিজম" । জাৰ্ম্মাণির মত বিলাতেও ন্যাশন্তালিজম আছে, ফ্রান্সেও তাহাই আছে । সেই সব চিজ আমাদের দেশেও আছে । তাহার তত্ত্বকথা এই— “আগে এদেশের লোক স্বাধীন হউক তারপর চাষীদের বড় করিব, আগে স্বরাজ গড়িয়া উঠুক, তারপর আর সব হইবে, ইত্যাদি” । সমস্ত পৃথিবীতে একই শাস্ত্র চলিতেছে । কাল মার্কস্ বনাম বিস্মার্ক যাক, জাৰ্ম্মাণি সম্বন্ধে ফরাসী পণ্ডিতদের মতামত আলোচনা করিতেছি । ফরাসীরা বলিয়া থাকেন—তখন একটা মত চলিয়াছিল, তাহার বিরুদ্ধে আর একটা মত দাড়াইল, সমাজ-সাম্যদল। তাহারা মজুরগুলিকে বলিতে শিখাইল—“মজুরদের স্বার্থ এমন কিছু যাহা বস্তুতঃ রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মের দ্বারা পরিপূর্ণ হইতে পারে না। অভিজাত সম্প্রদায় কর্তৃক শাসিত যে দেশ, তাহার সেবা করিলে মজুরদের স্বার্থরক্ষণ হইতে পারে না।” ফরাসী পণ্ডিত-সঙ্ঘ—আমিও যাহার মেম্বর—তাহারা বলিয়াছে “বিসমার্ক ত্যাদড় লোক। কাল মার্কসের মগজে ছিল মজুর-জগতকে করায়ত্ত করা। বিসমার্ক ভাবিল এমন একটা কিছু করা দরকার যাহাতে কাল মাকসের