বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন জাৰ্ম্মাণির যেমন ক্রুপ ফ্যাক্টরী তেমনি ফরাসীদেরও একটা কোম্পানী আছে, তাহার যে বড় এঞ্জিনিয়ার, তাহার নাম পিনো। এক বইয়ে সে লিথিয়াছে—“সরকারী বীমার কোন প্রয়োজন নাই, একমাত্র বীমা কেন প্রত্যেক জিনিষই লোকেরা স্বাধীনভাবে স্বতন্ত্রভাবে নিজ স্বার্থ অনুসরণ করিয়া গড়িয়া লুতুক । আইন করিবার প্রয়োজন নাই।” ফরাসী পণ্ডিত-সজেঘর হোমরা-চোমরা লোক আইন করিবার বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছে। তাহারা আইন করিতে দিবে না । ১৯২৪ সনে এই সম্বন্ধে পিনোর বই বাহির হইয়াছে। তাহা হইতে দেখাইতে চাই তাহদের যুক্তিটা কি। গভর্ণমেণ্টের সাহায্য না লইয়া কুলী মজুরদের জন্য ফরাসীরা কি করিয়াছে তাহার একটা বিবরণ সে বইয়ে আছে, এবং আইন না থাকা সত্ত্বেও ফরাসীরা কি করিতে পারিয়াছে তাহারও কতকগুলি দৃষ্টান্ত আছে। যুক্তিটা কি এখানে আমি শুধু তাহাই দেখাইব। ফ্রান্সের বিশেষত্ব বইয়ে আছে—“জার্মাণির অবস্থা আর ফ্রান্সের অবস্থা কি এক ? জাৰ্ম্মাণির যে নরনারী—তাহারা স্বভাবতঃ শৃঙ্খলীকৃত ও সঙ্ঘবদ্ধ ; সেখানকার নরনারী যখন তখন যে-কোন সঙ্ঘের ভিতর ঢুকিতে পারে। বক্তৃতা দিয়া শিথাইতে হয় না, সঙ্ঘের ভিতর ঢুকা অতি সহজ, আর সেখানকার সুবিধাগুলা তাহারা সহজেই নিজস্ব করিতে পারে। সেখানে তাহাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নষ্ট হইয়া যায়। তাহাতেও জাৰ্ম্মণদের ভ্ৰক্ষেপ নাই। স্বাধীনতার স্বাদ জাৰ্ম্মণি জানে না। ফরাসীও কি তাই ? ফরাসীরা কেমন ? যুগযুগান্তর ধরিয়া প্রত্যেক সমাজে, সমাজের প্রত্যেক স্তরে যে ফরাসীজাতের প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের বর্তমান অবস্থা হইতে উন্নততর অবস্থায় উঠিতে স্বাধীনভাবে চেষ্টা করিয়াছে, সেই ফরাসীমহলে