বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি-ৰাৰ্দ্ধক্য-দৈৰ ৰীমা Woo কি এই নিয়ম খাটিতে পারে ? কি রকম ফরাসী ? যে ফরাসী জমি-জমার আইন এমন করিয়া ফেলিয়াছে, যাহার ফলে সব জমি ছোট ছোট টুকুরে টুকুরে । তাহাতে জমিদার নামক বস্ত নাই, যদি থাকে সে জমিদার কি রকম ? ছোট ছোট জমির স্বাধীন মালিক। যেখানে ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্ৰ্য ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এত বেশী সেই ফরাসী দেশে কিনা আইন করিতে হইবে ? এই যে ফরাসী কারখানা, এই যে শিল্প, ইহাতে কি দেখিতে পাই ? যেখানে সকলে ছোট ছোট শিল্পের মালিক, অল্প মূলধন-বিশিষ্ট কারখানার মালিক, সে সমাজে আবার আইন ? এ জিনিষ ফরাসীর বিশেষত্ব— | এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকে তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার ফরাসী ভূমি । এ জিনিষটা না আছে বিলাতে, না আছে জাৰ্ম্মাণিতে, না আছে আমেরিকায়।” এভাবের বক্তৃতা চলিয়াছে। বাঙালী চরিত্রেও অনেকট। এইরূপই দেখা যায়। বক্তৃতা করিতে করিতে আমরা বলিয়া থাকি,— “বাংলার এক প্রাস্ত হইতে অপর প্রাস্ত পৰ্য্যন্ত যে আন্দোলনের স্বষ্টি হইয়াছে, যে আন্দোলনের ঢেউ জাপান পৰ্য্যন্ত পৌঁছিয়াছে, সেই জাপান হইতে ইত্যাদি ।” সেইরূপ গাল-ভরা বুকনিই শুনিতেছি এই ফরাসী পণ্ডিতের মুখে । তিনি আবার বলিতেছেন—“স্বল্প মূলধন-বিশিষ্ট অল্পায়তন কারখানার মালিক, যাহাদিগকে কোন দিন বিশাল-আয়তন কারখানার মালিকের ধ্বংস করিতে চেষ্টা করে নাই, ছোট ছোট মালিক, যাহারা বড়দের আশ্রয়েই মানুষ হইয়াছে, বড় গুলা যাহাদিগকে ধ্বংস করে নাই,—সেজন্ত বড়দের নিকট ছোটদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত” ইত্যাদি ।