পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্য-দৈব বীমা جاوفا সে রকম ব্যবস্থা করা সম্ভব কিনা জানিনা । ১৯২৬ সনে এ জিনিষ আমরা ধারণা করিতে পারি কি ? অথচ এ ব্যবস্থা যতক্ষণ পর্য্যন্ত না করিব, কৰ্ম্মদক্ষত বলিয়া জিনিষ কাহাকে বলে বুঝিতে পারিব না। স্বদেশসেবা হিসাবে যদি কাজ করিতে চাই, পারিব না। ইয়োরোপের সঙ্গে যদি টক্কর দিতে হয়, পারিব না । যে কোন দেশের সঙ্গেই টক্কর দিতে হয়, পারিব না। আমাদের টক্কর দিতে হইবে কাহার কাহার সঙ্গে ? একবার ভাবি কি ? চোখের সামনে দেখি লড়াইয়ে জাৰ্ম্মাণির হাড় একেবারে ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। বিসমার্কের সাধের সাম্রাজ্য ঠুটা হইয়া রহিয়াছে। কিন্তু উহাদের আর্থিক দৃঢ়তা অটুট আছে। বিসমার্কের আধখানা কাজ ষোল কলায়ই খাড়া রহিয়াছে । তাহা যতক্ষণ ঠিক থাকিবে ঐ দেশকে কেহ নড়াইতে পরিবে না। জাৰ্ম্মাণি ত জাৰ্ম্মাণি, মনে হয় ইতালি আমাদের চেয়ে একটু কিছু বেশী বটে ; কিন্তু আমরা ইতালির কাছাকাছিও নহি । আমরা কারু সঙ্গেই টক্কর দিবার পথে আজ দাড়াইতে পারি না। বৰ্ত্তমান অবস্থায় আমাদের পক্ষে এই সব করিয়া উঠা কঠিন হইলেও ইহার কথা ভাবিতে হইবে। পাচ কোটি বাঙ্গালীর মধ্যে দেড় কোটি বাঙ্গালী এমন আইন-কামুনে বদ্ধ হইবে, যাহার ফলে আমরা আর্থিক হিসাবে স্বাধীন ভাবে, নিশ্চিস্ত ভাবে এবং নিরুদ্বেগে যার যার কাজকৰ্ম্ম করিয়া যাইব । এইটা ১৯২৬ সনে চিন্তা করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব মনে হইতেছে। কিন্তু এই সব প্রণালী অবলম্বিত না হইলে আমরা বড় গোছের কিছু করিতে পারিব না। আর ইহা যদি করিতে পারি, তাহ হইলে অহরহ যে সব বুজরুকি ও আজগুবি কথা বলিতে আমরা অভ্যস্ত, সে সব কথা আওড়াইবার প্রয়োজন হইবে না ।