বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

也心 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বীমা আইন সম্বন্ধে ফরাসী মজুর এখানে মালিক নিজকে নিজেই ধন্যবাদ দিতেছেন। বইখানি কে লিখিয়াছেন ? ধরুন যেন টাটা কোম্পানীর মালিক লিখিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, তিনি মজুরদের জন্ত যাহা করিয়াছেন পৃথিবীতে আর কেহ তাহা করে নাই । কুলী-মজুর-কেরাণী তাহারা কি সেকথা বলিবে ? তাহারা বলিবে—“তাহা ত আমরা জানি না।” সেইরূপ বড় একটা ফরাসী কারখানার মালিক বক্ততায় বলিয়াছেন—“কেরাণী ও গরীবদের জন্ত আমরা যাহা করিয়াছি, কেহ কখনও তাহ করে নাই, আমরা গরীবদের কখনো বাধিয়া রাখি নাই ।” গরীবদের জিজ্ঞাসা করিলে বলিবে— “উহার মত জুয়াচোর, বাটপাড় কেহ নাই। যুক্তি দেখাইতেছেন, জাৰ্ম্মাণিতে যে রকম আইন, ফরাসী দেশে তাহার দরকার নাই । কারণ ছোট ছোট মালিক, ছোট ছোট জমিদার, ছোট ছোট কারিগর, ছোট ছোট কুটর-শিল্পী এই হইতেছে আমাদের দেশের—ফরাসীদেশের বিপুল সমাজ-শক্তি ও সঙ্গে সঙ্গে একটা বিপুল আর্থিক শক্তি। যেন ফরাসী পুঁজিপতি আর জাৰ্ম্মাণ পুঁজিপতি জাতে ফারাক ৷” ঐরূপ লোক থাকা সত্বেও ফরাসীরা এতদিনে আইন বিধিবদ্ধ করিয়াছে (১৯৩৬) । কাহারা করিয়াছে ? মজুরদের প্রতিনিধিরা । উহাদের দেশে চার কোটি লোক । তাহার মধ্যে প্রায় এক কোটি লোক এই আইনে পড়িয়াছে। তাহদের খরচ দেওয়া হইবে । অৰ্দ্ধেক দিতেছে মজুররা আর অৰ্দ্ধেক দিতেছে কারখানার মালিকর । যুবক ভারতের সমস্তা কি ফ্রান্স, কি জাৰ্ম্মাণি, কি ইংলও সকল সভ্য দেশেই জনসাধারণ ব্যাধি, বাৰ্দ্ধক্য ও দৈব-বীমা দ্বারা পেন্সন পাইতেছে । আমাদের পক্ষে