পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b7R নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন উকিল সকলকেই স্বদেশসেবকরা পরামর্শ দিতেছেন “ছাড়িয়া দাও লেখাপড়ার কাজ,—লাগিয়া যাও চাষ-আবাদে।” “সহর ছাড়িয়া যাও চলিয়া পল্লীতে” নামে একটা বয়েৎ আছে আমাদের আবহাওয়ায় । ঠিক তারই মাসতুত ভাই হইতেছে এই চাষবাসে লাগিয়া যাওয়ার প্রপাগাণ্ডা। যারা “আর্থিক স্বাধীনতা”র কথা, চাষীদের নিরুদ্বেগ জীবন যাপনের কথা, মাথা প্রতি ফী কিষাণের যথেষ্ট জমির পরিমাণের কথা বস্তুনিষ্ঠ ভাবে ভাবিয়া দেখিয়াছেন, তাদের মুখে এরূপ পাতি বাহির হইতে পারে না। দু’চার জন লোককে তাদের অবস্থা বুঝিয়া হয়ত বা এরূপ পরামর্শ দেওয়া যুক্তিসঙ্গতই বটে। কিন্তু সমগ্র দেশের পক্ষে একটা কৰ্ত্তব্যতালিকা নিৰ্দ্ধারণের বেলায় এই পাতি দিতে গেলে মগজের দেউলিয়া অৰস্থাই প্রমাণিত হয় । বিলাভের “ছোট্ট চাষী”-বিষয়ক আইন এইবার বিলাতের কথা কিছু বলি। ইংরেজদের সমস্তাও "গোত্র” হিসাবে বাঙালী আর জাৰ্ম্মাণ সমস্তারই অনুরূপ। ভাতকাপড় জুটাইবার মতন জমি চাষীদের আছে কিনা,—ইংরেজরা এই ভাবনায় অনেক দিন কাটাইয়াছে। প্রত্যেক চাষীকে যথেষ্ট পরিমাণ জমি দিবার জন্য তাহারা প্রাণপাতও করিয়াছে আর আজও করিতেছে। ১৯০৮ সনে এরা “স্মল হোলডিংস অ্যাক্ট" জারি করিয়া “ছোট্ট কিষাণ” কাকে বলে বুঝাইয়া দিয়াছে। এতটা জমি এক এক চাষী-পরিবারের থাকা চাই যে, তাতে আবাদ চালাইয়া তারা স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করিতে পারে। যার চেয়ে কম পরিমাণে চলিবে না তাকেই বলে “ছোট্ট টুকরা” বা “ম্মল হোলডিং” । অবশু এই ছোট্ট টুকরার মালিক স্বয়ং চাষী । বিগত পনর ষোল সতর বৎসরের ভিতর ইংরেজরা এই লাইনে অনেক কিছু করিয়াছে। নতুন-নতুন আইন কায়েম হইয়াছে। সরকারী