পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমিজমার আইন-কানুন by Aب( তদন্ত বসিয়াছে । দেশ-বিদেশে তদন্তের অভিযান গিয়াছে। কনজার্তেটিভ, লিবার্যল, মজুরপন্থী সকল রাষ্ট্রীয় দলই সরকারী আর বে-সরকারী ভাৰে “চাষী-প্রতি জমির পরিমাণ” সমস্তায় মাথা ঘামাইয়াছে । আর খোদ গবর্ণমেণ্টের খাজাঞ্জিখানা হইতে হাজার হাজার “ছোট্ট কিষাণকে” সাহায্য করার জন্ত ক্রোর ক্রোর টাকা ঢালা হইয়াছে । বিলাতের ১৯০৮ সনটায় যে মীমাংসা পাতি, দাওয়াই বা দর্শন আছে তার দিকে যুবক ভারতের মতিগতি চালানো আবশুক । বুঝা যাইতেছে যে যাদের জমি নাই অথবা কম আছে তাদেরকে ইংরেজ গবর্ণমেণ্ট জমি দিয়াছে অথবা পাওয়াইয়া দিয়াছে। ব্যস। বাঙালীকেও আজ তাই করিতে হইবে । জন প্রতি তিন বিঘা জমীতে যখন বাঙালী চাষীর “ধড়ে প্রাণ রাখা” অসম্ভব, তখন ইংরেজরা নিজেদের জন্ত যে দাওয়াই আবিষ্কার করিয়াছে সেই দাওয়াইটার ধরণ-ধারণ ভাল করিয়া রপ্ত করা আমাদের পক্ষে কৰ্ত্তব্য। বিলাতী ১৯৭৮ সন ভারতীয় আর্থিক উন্নতির মোসাবিদায় এক বড় অ tধ্যাত্মিক খুটা জোগাইতে পারিবে । ইংরেজের ভুড়ি অবখ্য বেশ পুরু । তাদের উদরপূর্তির জন্ত ফী চাষী পরিবারকে ১৭৫ বিঘা জমি দিবার দস্তুর আছে । আজকাল আবার জীবনযাত্রার মাপকাঠি বাড়িয়াছে। আন্দোলন চলিতেছে প্রত্যেক ছোট্ট কিষাণ পরিবারকে কম-সে-কম ২২৫৷২৫০ বিঘা জমি দিতে হইবে । বাঙালী চাষীর কপালে আজকাল জনপ্রতি বিঘা তিনেক বরাদ । বিলাতী হিসাবে পরিবারে পাচজন করিয়া ধরিলে আজকাল বাঙলায় আছে চাৰী-পরিবার প্রতি মাত্র ১৫ বিঘা। একে ঠেলিয়া ১৭৫ বিঘা পৰ্য্যন্ত তোলা আর্থিক ভারতের পক্ষে কোনো দিন সম্ভবপর হইবে কিনা সম্প্রতি আলোচনা করিতেছি না। বলিতেছি শুধু এই যে, ইংরেজরা এমন প্রস্তাবও ১৯২৪। ২৫ সনে করিয়াছে যাতে গবৰ্ণমেণ্টকে কী বৎসর ৭•,••,• • • পাউও